যা আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেটাই সত্যি হল। বেসরকারি স্কুলগুলির বেশির ভাগ অনলাইন ক্লাস করালেও ২১ জুলাই খোলা ছিল সরকারি,সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল। তবে সেই সব স্কুলে উপস্থিতি হার ছিল নিতান্তই কম। বেশ কয়েকটি স্কুল জানিয়েছে, এ দিন পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ছিল ১০ শতাংশেরও কম। যারা স্কুলে গিয়েছিল, তাদের বাড়ি ফিরতে সমস্যাও হয়েছে। অনেকে চেষ্টা করেও স্কুলে আসতে পারেনি বলে অভিযোগ।
মিত্র ইনস্টিটিউশন, ভবানীপুর শাখা এবং বেলতলা গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানালেন, তাঁদের স্কুলে এ দিন উপস্থিতির হার ছিলদশ শতাংশের মতো। উপস্থিত পড়ুয়াদের বেশির ভাগই স্থানীয় বাসিন্দা। এত কম পড়ুয়া থাকায় চতুর্থ পিরিয়ডের পরে স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। এ দিন পড়ুয়া যেহেতু খুব কম ছিল, তাই মিড-ডে মিলে প্রতিদিনেরমেনু দেওয়া হয়নি। বদলে কেক এবং বিস্কুট দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুল।
পাঠভবন স্কুলের অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, স্কুলবাস সে ভাবে চলেনি। ফলে অনেককেই ব্যক্তিগত ভাবে স্কুলে আসতেহয়েছে। যারা স্কুলে গিয়েছে, তাদের বলা হয়েছে স্কুল বন্ধ। যদিও স্কুল সূত্রের খবর, পড়ুয়ার সংখ্যা এতই কম ছিল যে, ছুটি দিয়ে দিতেহয়েছে। হিন্দু স্কুল, হেয়ার স্কুলের কয়েক জন অভিভাবকের মতে, গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকেতাঁরা দেখেছেন, স্কুল খোলা থাকলেও পৌঁছনো নিয়ে বিস্তর ঝামেলাহয়। সে জন্য তাঁরা এ বার ছেলেদের স্কুলে পাঠাননি। অভিভাবকদেরদাবি, পরের বছর থেকে পরিকল্পনা করে এই দিনে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কারণতাঁদের মতে, এমনিতেই এই বছরদীর্ঘ গরমের ছুটির জেরে পড়ুয়ারা পাঠ্যক্রম সময়ে শেষ করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছে। তাই একটা দিনওক্লাস না হওয়া পড়ুয়াদের পক্ষে ক্ষতিকর।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)