Advertisement
E-Paper

এ বার কলকাতার ৪৩ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা গায়েব! তদন্তে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ

জানা গিয়েছে, যাদবপুরের এক স্কুলের ১২ জন পড়ুয়া এবং ঠাকুরপুকুরের এক স্কুলের ৩১ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি। সেই টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। এর পরেই মঙ্গলবার দুই স্কুল কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট দুই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:৫৩
অভিযোগ, যাদবপুর এবং ঠাকুরপুকুরের দুই স্কুলের বেশ কিছু পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি।

অভিযোগ, যাদবপুর এবং ঠাকুরপুকুরের দুই স্কুলের বেশ কিছু পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি। —আনন্দবাজার অনলাইন গ্রাফিক।

ট্যাবের টাকা গায়েব হওয়ার অভিযোগ জেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে এ বার কলকাতায়। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির কয়েকশো পড়ুয়াকে ট্যাব কেনার জন্য দেওয়া অর্থ অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়া এবং কারও কারও অ্যাকাউন্টে দ্বিগুণ টাকা ঢোকার ঘটনা ঘিরে শোরগোল এ রাজ্যে। এরই মাঝে মঙ্গলবার ট্যাবের টাকা নিয়ে নতুন করে অভিযোগ জানালেন কলকাতার দুই স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, যাদবপুর এবং ঠাকুরপুকুরের দুই স্কুলের বেশ কিছু পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি। এই মর্মে দুই স্কুল কর্তৃপক্ষ যাদবপুর থানা এবং সরশুনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করে দেখছে।

জানা গিয়েছে, যাদবপুরের এক স্কুলের ১২ জন পড়ুয়া এবং ঠাকুরপুকুরের এক স্কুলের ৩১ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি। সেই টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। এর পরেই মঙ্গলবার দুই স্কুল কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট দুই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব কিনতে, ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে পড়ুয়াপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই টাকা অ্যাকাউন্টে জমা পড়া নিয়েও শুরু হয় বিতর্ক। শুরুটা হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলায়। সেখানে বেশ কয়েক জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তার পর বেশ কয়েকটি জেলা থেকে একই অভিযোগ উঠে আসে। রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’-এর উপভোক্তাদের জন্য পাঠানো টাকা কী ভাবে অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশেই সোমবার বিকেলে বিশেষ বৈঠক হয় নবান্নে। মুখ্যসচিবের সঙ্গে ওই বৈঠকে ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। তথ্য বলছে, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুর— এই ছ’টি জেলা থেকে ট্যাবের টাকা গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে ৩০৯ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ।

নবান্ন সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে রাজ্য সরকারের কাছে যে তথ্য এসেছে, তাতে প্রধানশিক্ষকদেরই গাফিলতি ধরা পড়েছে। বিষয়টিতে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। বিভিন্ন জেলা থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে তিনি স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব বিনোদ কুমারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে বলেছেন।

Tab Schools Bank Kolkata School students
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy