Advertisement
E-Paper

Port: বন্দর এলাকার ট্র্যাফিক-উন্নয়নে বরাদ্দ পাঁচ কোটি

কলকাতা শহরে গত বছর পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৯৬ জনের, যার মধ্যে বন্দর এলাকাতেই মৃতের সংখ্যা ছিল ৪২।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২২ ০৬:১৩

ফাইল চিত্র

কলকাতা শহরে গত বছর পথ-দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৯৬ জনের, যার মধ্যে বন্দর এলাকাতেই মৃতের সংখ্যা ছিল ৪২। লালবাজারের কর্তাদের পাশাপাশি বিষয়টি চিন্তায় ফেলেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষকেও। সেই কারণে এলাকার রাস্তাঘাট নিরাপদ করতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, আগামী মাসের মধ্যেই সেখানে দুর্ঘটনা রোধে একগুচ্ছ প্রকল্প শুরু হবে। এর জন্য দরপত্র ডাকাও শুরু হয়েছে বলে খবর।

পুলিশ জানিয়েছে, বন্দর এলাকা, অর্থাৎ খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজে ট্র্যাফিক ব্যবস্থা ও যান চলাচল ঠিক রাখতে বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং কলকাতা পুলিশ যৌথ ভাবে উদ্যোগী হয়েছে। ওই এলাকার বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে যে হেতু প্রতিদিনই প্রচুর পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করে, তাই সেখানকার পরিকাঠামোর উন্নয়নে বন্দরের ভূমিকাও রয়েছে।

বন্দর এলাকা মূলত দু’টি ট্র্যাফিক গার্ডের অধীন— সাউথ-ওয়েস্ট ট্র্যাফিক গার্ড এবং বিদ্যাসাগর ট্র্যাফিক গার্ড। সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড থেকে গার্ডেনরিচ রোড, সত্য ডাক্তার রোড ও কোল বার্থ রোডের মতো রাস্তা বন্দর এলাকায় পড়ে, যেখান দিয়ে রোজই ভারী যান চলাচল করে। সেই কারণে কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) অরিজিৎ সিংহ সেখানকার পরিকাঠামোর উন্নয়নে বন্দরের চেয়ারম্যানের কাছে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারই ভিত্তিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই টাকা বরাদ্দ করেছেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ওই এলাকার ট্র্যাফিক ব্যবস্থা গোটা শহরের থেকে আলাদা। দিনের পাশাপাশি রাতেও প্রচুর যানবাহন চলে। রাতের দিকে মূলত লরি ও ট্রেলারের মতো পণ্যবাহী গাড়ি বেশি যায়। কিন্তু এলাকায় যান চলাচল মসৃণ রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। ফলে বন্দর এলাকার কিছু অংশে যানবাহনের গতি বাধা পাচ্ছে। দিনের ব্যস্ত সময়ে এবং রাতে গাড়ির চাপ বাড়লে ওই সমস্যা আরও বাড়ে। রাতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

এই পরিস্থিতিতে যানবাহনের গতি স্বাভাবিক রাখতে বন্দর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রাস্তা— সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড, হাইড রোড এবং তারাতলা রোডের আটটি জায়গায় ট্র্যাফিক সিগন্যালের স্তম্ভ বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষকে। দুর্ঘটনা এবং বেপরোয়া গাড়ির গতি ঠেকাতে সিগন্যাল পোস্ট বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কোল বার্থ রোড, দুমায়ুন অ্যাভিনিউ, ডক ইস্ট বাউন্ডারি রোড ও ধোবিতলার সংযোগস্থলেও। সেই টাকা মঞ্জুর হওয়ায় ওই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ট্র্যাফিক-বিধি নির্দেশকারী বোর্ড, স্প্রিং পোস্ট, গার্ড রেল, এলইডি আলো-সহ একাধিক জিনিস ফের বসানো হবে।

port
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy