E-Paper

৩০ বছর ধরে ২১ জুলাইয়ে সীতারামের ঠিকানা ধর্মতলা

সাল ১৯৯২। তখন সীতারাম দশম শ্রেণির ছাত্র। সেই বছর যুব কংগ্রেসের ডাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ব্রিগেড সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন। সেই প্রথম কলকাতায় পা রাখা।

মেহবুব কাদের চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩ ০৭:১৮
An image of Sitaram Mukherjee

১৯৯২ সালের সভার কার্ড হাতে সীতারাম মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার।  —নিজস্ব চিত্র।

১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই। তৎকালীন যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহাকরণ অভিযানের সময়ে ব্রেবোর্ন রোডে ছিলেন তিনি। তার পর থেকে প্রতি বছর সুদূর রানিগঞ্জ থেকে এই দিনে কলকাতার ধর্মতলায় হাজির হন সীতারাম মুখোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জের অদূরে জেমেরি গ্রামে। শুক্রবারও ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে নিয়ম মেনে হাজির ছিলেন সীতারাম।

সাল ১৯৯২। তখন সীতারাম দশম শ্রেণির ছাত্র। সেই বছর যুব কংগ্রেসের ডাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ব্রিগেড সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন। সেই প্রথম কলকাতায় পা রাখা। সে বারই কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সই সংগ্রহ করেছিলেন। নিজের কাছে সেই সম্পদ সযত্নে ল্যামিনেশন করে রেখে দিয়েছেন সীতারাম।

বছর সাতচল্লিশের সীতারামের পরিবারের অনেকেই মমতাপন্থী। এ বছর ২১ জুলাইয়ের দিন তিনেক আগে শহরে এসে হোটেলে থেকেছেন তিনি। ধর্মতলার প্রস্তুতি-মঞ্চ থেকে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে গত তিন দিন ধরে নিত্য গিয়েছেন। এ দিন সকাল সকাল একুশের সভামঞ্চের ভিআইপি করিডরের কাছাকাছি ফুটপাতের এক পাশে ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন। সীতারাম বললেন, ‘‘ছোট থেকেই রাজনীতি টানে। তাই ক্লাস টেনে পড়ার সময়ে ব্রিগেডে হাজির হয়েছিলাম। সে বছরেই কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সই সংগ্রহ করেছিলাম।’’

আসানসোল পুরসভার অস্থায়ী কর্মী সীতারামের কথায়, ‘‘১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই তৎকালীন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকরণ অভিযানে শামিল হন। সে দিন ব্রেবোর্ন রোডে আমি ছিলাম। গোলমাল শুরু হতেই এক ব্যবসায়ী হাত ধরে টেনে আমাকে তাঁর দোকানে আশ্রয় দিয়েছিলেন। শাটার বন্ধ দোকানে পাক্কা এক ঘণ্টা বসেছিলাম। পরিস্থিতি শান্ত হতে বেহালায় আত্মীয়ের বাড়িতে যাই।’’

দশম শ্রেণির পড়ুয়া কিশোরকে কী ভাবে বাড়ির লোক একা রানিগঞ্জ থেকে কলকাতায় আসতে দিলেন? সীতারামের সপাট উত্তর, ‘‘ছোট থেকে আমি ডানপিটে গোছের ছিলাম। রাজনীতি আমার আবেগ। বিশেষত মমতাদির লড়াকু মানসিকতা আমাকে টানে। যার জন্য ওঁকে কাছ থেকে দেখতে বার বার ছুটে আসি।’’

রানিগঞ্জের জেমেরি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে জেমেরি গ্রাম। সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোট হলেও ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে এখনও বোর্ড গঠন হয়নি। জেমেরি গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ চট্টোপাধ্যায় ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে বললেন, ‘‘ছোট থেকেই সীতারাম অন্য গোত্রের মানুষ। দলীয়কর্মীর থেকেও উনি বেশি করে সমাজকর্মী। গ্রামের মানুষের বিপদে-আপদে সব সময়ে পাশে দাঁড়ান।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

21st July TMC Rally Ekushe July

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy