প্রতীকী ছবি।
ভবানীপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুটপাটের পরে তিনটি গাড়িতে করে সোজা ব্যাঙ্কশাল আদালত চত্বরে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সেখান থেকে বিভিন্ন দিকে রওনা দেয় গাড়িগুলি। ধৃতদের জেরা করে এমনই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার রাতে বাঁকুড়া থেকে আরও ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যার ফলে এই ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট। তবে লুট হওয়া নগদ টাকা এবং গয়না এখনও উদ্ধার করা যায়নি। ঘটনার পিছনে ওই ব্যবসায়ীর পরিচিত কেউ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি লালবাজার এ-ও জানার চেষ্টা করছে যে, শুধু লুটপাটই উদ্দেশ্য ছিল কি না।
লালবাজার জানিয়েছে, ধৃত ছ’জনের নাম নুর নবি শেখ ওরফে ছোটন, সিকান্দর আলিমুদ্দিন দেওয়ান, সুরেশ খান, শেখ সাবির, রাজীব আলি গায়েন ও বাবান কর্মকার। বাঁকুড়ার বালিয়াতোলা এবং বড়জোড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় সোমবার রাতে রঞ্জন চৌধুরী ও শান্ত মোল্লাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, ধৃত নুর নবি ওরফে ছোটন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে রঞ্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। এমনকি, দিল্লি থেকে আসা সিবিআই অফিসারের সঙ্গে গাড়ি নিয়ে থাকতে হবে বলেও রঞ্জনকে জানিয়েছিল সে। নুরের কথা মতো সোমবার সকালে চলে আসে রঞ্জন। সিবিআই অফিসার যে ভুয়ো, তা প্রথমে সে জানত না বলে পুলিশি জেরায় দাবি করেছে রঞ্জন। পুলিশ যদিও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। বাকিদের নুর ডেকে আনে, না কি এর পিছনে ছিল অন্য কেউ, তা-ও দেখছে পুলিশ। ধৃত ছ’জনকে বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশের অনুমান, লুটের টাকা-গয়না কলকাতার বাইরে সরানো হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কয়েক জন জড়িত বলে ধারণাতদন্তকারীদের। এমনকি, পরিচিত কেউও থাকতে পারে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘পরিচিত কারও সাহায্য ছাড়া নির্দিষ্ট ঘরে ঢুকে নির্দিষ্ট আলমারি খুলে লুট করা সম্ভব নয়। ব্যবসায়ীর ঘনিষ্ঠ কেউ এর পিছনে থাকতে পারে।’’
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে ভবানীপুরের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ঢুকে তল্লাশির নামে নগদ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা এবং আট লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তেরা। ন’জন দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে ঢুকেছিল বলে জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy