Advertisement
E-Paper

করোনা-ত্রাসে দরজা বন্ধ দোহার, নামানো হল ছয় যাত্রীকে

মঙ্গলবারই কাতার থেকে নির্দেশ এসেছে, আপাতত কোনও ভারতীয় নাগরিক বা ভারতে আসা অন্য কোনও দেশের নাগরিককেও কাতারে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২০ ০৩:৩৬
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস-আতঙ্কের জেরে বিমানে উঠিয়েও নামিয়ে দেওয়া হল ছ’জন যাত্রীকে। মঙ্গলবার গভীর রাতে কাতার এয়ারওয়েজ়ের উড়ানে দোহা যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। মঙ্গলবারই কাতার থেকে নির্দেশ এসেছে, আপাতত কোনও ভারতীয় নাগরিক বা ভারতে আসা অন্য কোনও দেশের নাগরিককেও কাতারে ঢুকতে দেওয়া হবে না। দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো কলকাতা থেকেও কাতারের রাজধানী দোহায় যাওয়ার নিয়মিত উড়ান রয়েছে। প্রতি রাতে দোহা থেকে যাত্রীদের নিয়ে কলকাতায় আসে ওই উড়ান। এখান থেকে যাত্রীদের নিয়ে উড়ে যায়।

কলকাতা থেকে ইউরোপ, আমেরিকা বা পশ্চিমের অন্য কোনও দেশে যাওয়ার জন্য অনেকেই কাতার এয়ারওয়েজ়ের উড়ান ধরেন। তাঁরা দোহা শহরে না ঢুকে বিমানবন্দরেই অপেক্ষা করেন এবং পরবর্তী উড়ান ধরে গন্তব্যের উদ্দেশে উড়ে যান। এই ধরনের ট্রানজ়িট যাত্রীদের জন্য অবশ্য কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। মঙ্গলবার প্রথমে অনেকের ধারণা হয়, ভারত থেকে কাতার এয়ারওয়েজ় সমস্ত উড়ানই বাতিল করে দিতে পারে। কিন্তু পরে রাতে দোহা থেকে বিমান কলকাতায় আসে এবং এখান থেকে যাত্রীদের নিয়ে উড়ে যায়।

সেই যাওয়ার সময়েই এমন ছ’জন যাত্রীকে পাওয়া যায়, যাঁরা দোহা যাবেন বলে বিমানে উঠেছিলেন। বিমান সংস্থার কর্মীরা প্রথমে সেটা বুঝতে না পারলেও পরে যখন জানা যায়, তখন ওই যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। কাতার সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ভারত ছাড়াও চিন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ইরান, ইরাক, মিশর, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স-সহ বেশ কিছু দেশ থেকেই আপাতত কাউকে সে দেশে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।

কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, কয়েক দিন আগে ভুটান সরকারও ভারতের ক্ষেত্রে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সে দিনও অনেক দেরিতে খবর আসে এবং তত ক্ষণে ভুটান এয়ারলাইন্সের উড়ানে ৫৩ জন যাত্রী উঠে বসেও পড়েছিলেন। তাঁদের সবাইকে নামিয়ে আনা হয়। নেপালেও এখন ভারতীয় পর্যটকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে নেপালের উড়ানও বন্ধ হয়ে রয়েছে। চিন ও হংকংয়ের উড়ান আগেই বন্ধ হয়েছে।

বেশ কিছু ভারতীয় কর্মীও কাজ করেন ওই উড়ান সংস্থাগুলিতে। ফলে তাঁরাও আটকে পড়েছেন যে যাঁর শহরে। তাঁদেরও ওই সব শহরে ঢোকার অনুমতি নেই। কলকাতাতেও এমন বিমানকর্মীরা বসে গিয়েছেন বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, অন্যান্য বিমান সংস্থাও ব্যাঙ্ককের উড়ান বাতিল করছে।

Qatar Doha Kolkata Airport coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy