Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

এ বার সৎকার হচ্ছে দেবযানীর কঙ্কালের

অবশেষে সৎকার হতে চলেছে দেবযানী দে-র কঙ্কাল। রবিনসন স্ট্রিটের বাসিন্দা দেবযানীর কঙ্কাল সৎকারের জন্য তাঁর ভাই পার্থ দে-র হাতে তুলে দেওয়ার অনুমতি দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১৮:৪৯
Share: Save:

অবশেষে সৎকার হতে চলেছে দেবযানী দে-র কঙ্কাল।

রবিনসন স্ট্রিটের বাসিন্দা দেবযানীর কঙ্কাল সৎকারের জন্য তাঁর ভাই পার্থ দে-র হাতে তুলে দেওয়ার অনুমতি দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। বৃহস্পতিবার ওই আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, এসএসকেএম হাসপাতালে রাখা দেবযানীর কঙ্কাল তাঁর ভাইয়ের হাতে তুলে দিতে।

চলতি বছরের ১০ জুন শেক্সপিয়র সরণির ৩ নম্বর রবিনসন স্ট্রিটের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দেবযানীর কঙ্কাল। পুলিশের অনুমান, তার মাস ছ’য়েক আগে দেবযানী মারা গিয়েছিলেন। পুলিশ জানায়, তার আগের রাতে ওই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় দেবযানী ও পার্থর বাবা অরবিন্দবাবুর আগুনে পুড়ে যাওয়া দেহ। ওই ব্যক্তি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হন বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করে।

পুলিশ জানায়, অরবিন্দবাবুর দেহ উদ্ধারের পরে পার্থকে জেরার সময় তিনি জানান, তাঁর দিদির কঙ্কাল তাঁদের শোওয়ার ঘরে পড়ে রয়েছে। ওই ঘরে রয়েছে তাঁদের পোষা কুকুরের কঙ্কালও। পুলিশের দাবি, সেই সময় মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন পার্থ।

এর পরে পার্থকে পাভলভ মানসিক হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করায় পুলিশ। পার্থদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি দেবযানীর-ই কি না, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কঙ্কালটি চণ্ডীগড়ে পাঠায়। সেখানে সুপারইম্পোজ করা হয় কঙ্কালের। পুলিশ জানায়, চণ্ডীগড়ের বিশেষজ্ঞেরা সুপারইম্পোজ করে জানান, সেটি দেবযানীর-ই।

পুলিশ জানায়, পার্থর বাবার দেহ এসএসকেএম রাখা ছিল। পার্থর ইচ্ছায় পুলিশ অরবিন্দবাবুর দেহ তাঁর ছেলেকে দিয়েই সৎকার করায়। এর পরে পাভলভ হাসপাতাল থেকেই পার্থ পুলিশকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেন, তাঁর দিদির দেহ তিনি সৎকার করতে চান। পুলিশ পার্থর অনুরোধ করে লেখা চিঠি আদালতে পাঠায়। তার ভিত্তিতেই এ দিন আদালত ওই অনুমতি দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE