Advertisement
E-Paper

জল মাপার পথেই হাঁটবে দক্ষিণ দমদম

বছর খানেক আগে কলকাতা পুরসভা এক থেকে ছয় নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি জলের মিটার বসানোর কাজ শুরু করেছিল। উদ্দেশ্য, সরবরাহ করা জল এবং খরচ হওয়া জলের হিসাব থেকে অপচয় হওয়া জলের পরিমাণ বার করা।

সৌরভ দত্ত

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৮ ০৩:৩০

কলকাতা পথ দেখিয়েছে। সেই পথেই এ বার হাঁটতে শুরু করেছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা।

বছর খানেক আগে কলকাতা পুরসভা এক থেকে ছয় নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি জলের মিটার বসানোর কাজ শুরু করেছিল। উদ্দেশ্য, সরবরাহ করা জল এবং খরচ হওয়া জলের হিসাব থেকে অপচয় হওয়া জলের পরিমাণ বার করা। বিভিন্ন ওয়ার্ডের জল সরবরাহে ভারসাম্য বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ করেছেন কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ। প্রায় একই ভাবে দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার বাসিন্দারা কত জল ব্যবহার করছেন, এ বার তা জানতে চাইছেন পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রের খবর, প্রতি ওয়ার্ডে দৈনিক কত জল সরবরাহ হয় তার হিসাব রাখতে এই মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এক পুর কর্তা জানান, জলের অপচয় রুখতে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। ইচ্ছা থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি মেনে জলকর বসাতে পারছে না পুরসভা। তাই কর ধার্য না হলেও মিটার বসানোর ভাবনা হয়েছে। সম্প্রতি চেয়ারম্যান পরিষদের বৈঠকে এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ওই পুরকর্তার কথায়, ‘‘বিভিন্ন প্রকল্পে পুরসভার জলাধারগুলি থেকে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহে মোটা টাকা খরচ হয়। আবার পরিস্রুত জল পাওয়ার প্রক্রিয়াও খরচ সাপেক্ষ। সুতরাং সেই জলের অপচয় মানে, অর্থের অপচয়। পুরসভা তাই একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে চাইছে।’’ পুরসভার জল দফতর সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে মূল পাইপলাইন থেকে ওয়ার্ডের জল সরবরাহ পাইপের সংযোগস্থলে মিটার বসানোর কথা ভাবা হয়েছে। এর ফলে ওয়ার্ডে সরবরাহকৃত জলের হিসাব পাওয়া যাবে।

জল দফতরের চেয়ারম্যান পারিষদ প্রবীর পাল বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে প্রতি বাড়িতে মিটার বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আপাতত বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাইপের সংযোগস্থলে মিটার বসানো হবে।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, জলের অপচয় আটকাতে রাস্তার ধারে কলের সংখ্যা কমানো হবে। প্রবীরবাবু বলেন, ‘‘প্রায় প্রতি বাড়িতে এখন জলের সংযোগ রয়েছে, অযথা রাস্তায় কল থাকবে কেন? যেখানে প্রয়োজন, সেখানে ছাড়া রাস্তার কল বন্ধ করে দেওয়া হবে।’’ দ্রুত এই সমীক্ষা শুরু করবে পুরসভা। পাশাপাশি, পুর এলাকার মাটির নীচে কোথায় জলের পাইপ রয়েছে, তা স্যাটেলাইট মানচিত্রের মাধ্যমে ধরে রাখার কথাও ভাবা হয়েছে। প্রবীরবাবু জানান, এর ফলে কোথায় পাইপ ফেটেছে, দফতরে বসে তা জানতে পারবেন আধিকারিকেরা।

পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নীতি মেনে জলের জন্য নাগরিকদের কাছ থেকে টাকা নেব না। কিন্তু জল খরচের উপরে নজরদারি থাকবে। আশা করি, তাতে অপচয় আটকানো সম্ভব হবে।’’

South Dumdum Municipality Water Metre Water Waste
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy