বছরের শুরু থেকেই প্রতিটি ওয়ার্ডে মশা মারার কাজে জোর দেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ, সচেতনতার কাজ এবং নজরদারিও করা হয়েছে বলে দাবি করেছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভা। ডেঙ্গিতে তিন জনের মৃত্যু কিংবা শতাধিক লোকের জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরেও সেই দাবি বহাল ছিল। এ বার দক্ষিণ দমদম পুরসভা আবার পুরকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তাঁরা মশা মারার কাজ হয়েছে কি না, তাঁর খোঁজ নেবেন। মশার মারার কাজের উপর নজরদারির জন্য বিশেষ দল তৈরি করেছে পুরসভা।
কিন্তু বছরের শুরু থেকে কাজ হলে নজরদারির জন্য আলাদা দল তৈরি করতে হবে কেন? বাসিন্দাদের কথায়, পুরসভার সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট এত দিন মশার মারার কাজে খামতি ছিল। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ পুরসভা। পুর-কর্তৃপক্ষ জানান, বছরের শুরু থেকেই কাজ হয়েছে। মশা মারার কাজের পাশাপাশি পুরসভার জনস্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি দলকে বাড়ি বাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি পুর-কর্তাদের কাছে বাসিন্দারা অভিযোগ করেছিলেন, এলাকায় মশা মারার কাজে কোনও তত্পরতা দেখা যাচ্ছে না। মশার মারার কাজে নিয়মিত পুর-কর্মীদের দেখা যায় না।
ইতিমধ্যে ১২ থেকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একের পর এক জ্বরে আক্রান্তের খবর আসতে শুরু করে। তিন জনের মৃত্যুও হয়েছে। পরিদর্শনে গিয়ে পুরসভার কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরাও। এর পরেই নড়েচড়ে বসে উত্তর
২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও নির্দেশের পাশাপাশি এক জন প্রতিনিধিও কাজের তদারকির জন্য পাঠানো হয়। এর পরেই পুরসভা সিদ্ধান্ত নেয়, স্বাস্থ্য দফতর ও জনস্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিশেষ দল গঠন করা হবে। তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশা মারার কাজের খোঁজখবর নেবেন। এর ফলে এক দিকে, মশা মারার কাজের তদারকি করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি বাসিন্দাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখাও হবে। যদি দেখা যায় কোথাও
শৈথিল্য থাকে, সেখানে কাজের গতি বাড়ানোর ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন পুরকর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy