E-Paper

খুনের পিছনে কি জাল ওষুধ চক্র?

সরকারি হাসপাতালে দিনের পর দিন নিম্ন মানের ওষুধ সরবরাহের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বার বার বলার পরেও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে কার্যত কিছুই করা হয় না বলে দাবি স্বাস্থ্য মহলের একাংশের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৪ ০৮:০৩
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সরকারের সরবরাহ করা ওষুধ অন্যত্র বিক্রি করে দিয়ে, দিনের পর দিন জাল ওষুধ আনা হচ্ছে। তা ব্যবহারও করা হচ্ছে। এমন বড়সড় দুর্নীতির কথা জেনে ফেলাই কি আর জি করের তরুণী চিকিৎসক-পড়ুয়ার কাল হয়েছিল? এ নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট করে কেউ কিছু বলতে রাজি নন। তবে, ওই চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার নেপথ্যে বিভিন্ন প্রশ্নের মধ্যে এটাও তুলছেন আর জি করের তো বটেই, বাইরের চিকিৎসকদের একাংশও।

তবে, সরকারি হাসপাতালে দিনের পর দিন নিম্ন মানের ওষুধ সরবরাহের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বার বার বলার পরেও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে কার্যত কিছুই করা হয় না বলে দাবি স্বাস্থ্য মহলের একাংশের। তাঁদের দাবি, বিশেষ ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয় ওষুধ সরবরাহের বিষয়টি। কোন সংস্থা সেই বরাত পাবে, তা স্থির করে দেন ওই গোষ্ঠীর ‘দাদারা’। আর জি করের ঘটনার পরে এই বিষয়টি আবারও প্রকাশ্যে উঠে আসছে। কারণ, ওই মেডিক্যাল কলেজেরই প্রাক্তন এক আধিকারিক অভিযোগ তুলেছিলেন, সেখানে চিকিৎসা বর্জ্য থেকে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, রক্তের পাউচ-সহ বিভিন্ন জিনিস কালোবাজারে বিক্রির চক্র চললেও কারও কিছু বলার ছিল না। সবটাই নিয়ন্ত্রণ করতেন ওই বিশেষ গোষ্ঠীর অতি ঘনিষ্ঠ অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। প্রতিবাদ করায় ওই আধিকারিককেই বদলি করা হয়েছিল।

অ্যাসোসিয়েশন অব হেল্থ সার্ভিস ডক্টর্সের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, ‘‘নিম্ন মানের ওষুধ কেনা, প্রয়োজন না থাকলেও ওষুধ, যন্ত্রপাতি কেনা থেকে চিকিৎসা বর্জ্য বিক্রি, সবেতেই সিন্ডিকেট চলত। দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ শুনছি। সিবিআই তদন্তেও বিষয়টি উঠে আসা উচিত।’’ ওষুধের গুণগত মান নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সরকারি চিকিৎসকদের বড় অংশের। সম্প্রতি শহর ও জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে আচমকা একসঙ্গে একাধিক প্রসূতির মৃত্যুর নেপথ্যে বিশেষ একটি স্যালাইনকেই দায়ী করেন চিকিৎসকেরা। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের গুণগত মানের পরীক্ষায় তা পাশ করেছিল। কী ভাবে তা সম্ভব? প্রশ্ন চিকিৎসক মহলেও। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে শিশুদের ইনজেকশনের মধ্যে ছত্রাক মিলেছিল। কালো তালিকাভুক্ত একটি সংস্থাই তা সরবরাহ করেছিল। অনেক সিনিয়র চিকিৎসক বলছেন, ‘‘ওষুধের মান নিয়ে বার বার অভিযোগ করা হলেও তা বদলানো হয় না। একই সংস্থা বহাল থাকে। বিশেষ ক্ষমতাধর কারও ছত্রচ্ছায়া না থাকলে এটা সম্ভব নয়।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

R G Kar Medical College and Hospital

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy