প্রতীকী ছবি।
মালিকের অনুপস্থিতিতে ড্রয়ারের চাবি হাতিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা সরিয়েছিলেন অভিযুক্ত। তাঁকে যাতে সন্দেহ না করা হয়, সে কারণে টাকা হাতানোর পরেও নিয়মিত কাজে এসেছেন। নিয়ম মেনে মালিকের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন অভিযুক্ত। তবে শেষ রক্ষা হল না। প্রায় দশ ঘণ্টা পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ে স্বীকার করে নিলেন অপরাধ। নেতাজি সুভাষ রোডের একটি অফিস থেকে প্রায় চার লক্ষ টাকা চুরির অভিযোগে মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হল ওই কর্মীকে। ধৃতের নাম অবনী মণ্ডল।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির বাড়ি হুগলির জনাই রোডে। তাঁকে জেরা করে তদন্তকারীরা ওই অফিসের পিছনে একটি হোটেলের শৌচাগার থেকে চুরির টাকা উদ্ধার করেছেন। যা শৌচাগারের ভিতরে একটি কৌটোয় লুকিয়ে রাখা ছিল। একই সঙ্গে সিস্টার্নের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই ড্রয়ারের চাবিও।
পুলিশ সূত্রের খবর, এনএস রোডের একটি বহুতলে একতলা এবং তিনতলায় একটি প্লাস্টিকের জিনিস বিক্রি সংস্থার অফিস রয়েছে। সেখানেই চাকরি করতেন অবনী। ওই সংস্থার মালিকের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার তিনি তিনতলার অফিসের একটি ড্রয়ারে প্রায় ন’লক্ষ টাকা রেখেছিলেন। ছেলে অসুস্থ হওয়ায় দিন কয়েক ধরে তিনি একতলার অফিস সামলাচ্ছিলেন। সোমবার তিনতলায় ওই টাকার খোঁজে গিয়ে দেখেন, ড্রয়ারের চাবি নেই। উধাও প্রায় চার লক্ষ টাকা।
তদন্তকারীদের দাবি, অফিসে ঘুরে তাঁদের মনে হয় এতে পরিচিত কেউ জড়িত। প্রথমে কোন কর্মী অনুপস্থিত সেই খোঁজ নেওয়া শুরু হয়। দেখা যায়, সকলেই উপস্থিত। এর পরেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অবনীর কথায় অসঙ্গতি মেলে। মঙ্গলবার প্রায় দশ ঘণ্টার জেরার পরে তিনি চুরির কথা স্বীকার করে নেন বলে জানায় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy