আগামিকাল, বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম ও কংগ্রেসের ট্রেড ইউনিয়নগুলি। ওই দিন যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সচেষ্ট হল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার, বেলতলায় আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের কার্যালয়ে বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি, অটো ও ট্রাক মালিক সংগঠনের সঙ্গে এক বৈঠক করেন রাজ্য পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা।বৈঠকে ওই দিন সংগঠনগুলিকে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, এ জন্য রাস্তায় পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে সরকার। কোথাও বাস ভাঙচুর হলে উপযুক্ত বিমার ব্যবস্থা করা হবে বলেও রাজ্য সরকার আশ্বাস দিয়েছে বলে বাসমালিক সংগঠনগুলির দাবি।
এ দিনের বৈঠকে ‘বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট’, ‘বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’, ‘বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’ এবং ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর কর্তারা উপস্থিত থাকলেও ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস’ এই বৈঠকে যোগ দেয়নি। হলুদ ট্যাক্সি এবং অটোর ক্ষেত্রে শাসকদলের ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা বৈঠকে যোগ দিলেও বাম ঘেঁষা পরিবহণ শ্রমিকদের ইউনিয়নগুলি থেকে কেউ বৈঠকে ছিলেন না। ‘বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, “আমরা সাধ্য মতো বাস চালাব বলেছি। সরকারের তরফেও সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে।” ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’ এবং ‘বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’র পক্ষ থেকে টিটু সাহা এবং রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দীর্ঘ লকডাউনের পরে পরিষেবা সবে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সেটা চালু থাকা জরুরি। সরকারের থেকে কর ছাড়-সহ অন্যান্য সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে। আশা করছি পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে।”
বাস মালিক সংগঠনগুলির দাবি, নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে অন্যান্য দিনের মতোই কলকাতায় সাড়ে তিন হাজার বাস পথে নামতে পারে। রাজ্য পরিবহণ দফতর আরও হাজারখানেক বাস রাস্তায় চালাবে বলে জানিয়েছে। অটো, ট্যাক্সি এবং অন্যান্য যানও চলবে। এ দিনের বৈঠকে শামিল না হওয়া ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট’-এর সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাস সংগঠন হিসেবে আমাদের বিশেষ রাজনৈতিক অবস্থান নেই। তবে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে জিএসটি চালুর দাবি বহুদিন ধরে করছি।