Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

দিল্লির দূষণে বিপদের আঁচ পেয়েছে কলকাতা

পরিবেশ দূষণে ‘ভুক্তভোগী’ দিল্লির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সতর্ক হচ্ছে রাজ্যের দুই যমজ শহর কলকাতা ও হাওড়া। সোমবার কলকাতা পুরভবনে এ নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পরিবেশমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, যিনি আবার কলকাতার মেয়রও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪৪
Share: Save:

পরিবেশ দূষণে ‘ভুক্তভোগী’ দিল্লির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সতর্ক হচ্ছে রাজ্যের দুই যমজ শহর কলকাতা ও হাওড়া।

সোমবার কলকাতা পুরভবনে এ নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পরিবেশমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, যিনি আবার কলকাতার মেয়রও। রাজ্যের এই দুই শহরে দূষণ নিয়ে পরিবেশ দফতর যে চিন্তিত, তার আঁচ মিলেছে খোদ মন্ত্রীর কথাতেও। বলেছেন, পুলিশ, পুরসভা ও পরিবেশ দফতর সমন্বয় করে দূষণ রোধে ব্যবস্থা নেবে। এ দিন ছিল সব পক্ষই।

গত বছর হঠাৎই বিষাক্ত হয়ে ওঠে দিল্লির পরিবেশ। শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়াই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল দিল্লিবাসীর পক্ষে। কলকাতায় যাতে সেই ধরনের পরিস্থিতি না হয় তার জন্যই এই বৈঠক।

দিল্লিতে যানবাহন মূলত সিএনজিতে চললেও গত বছর দীপাবলির পরে ধোঁয়া আর ধূলিকণায় ভরে যায় সেখানকার বহু এলাকা। কলকাতা ও হাওড়ায় ক্রমশই বাড়ছে পেট্রোল ও ডিজেলচালিত গাড়ির সংখ্যা। বাড়ছে দূষণও। পরিবেশ মন্ত্রী শোভনবাবু বলেন, ‘‘দিল্লির পরিস্থিতি দেখেই চিন্তা বেড়েছে।’’

পরিবেশমন্ত্রী জানান, গাড়ির ক্ষেত্রে বছরে দু’বার দূষণের শংসাপত্র নেওয়ার নিয়ম অনেকেই মানেন না। সেই প্রবণতা রুখতে দূষণ শংসাপত্র দেওয়ার পদ্ধতির সঙ্গে পুলিশের অ্যাপ যুক্ত হবে। ফলে কেউ শংসাপত্র নিলেই তা পুলিশের রেকর্ডে চলে যাবে। আর পুলিশ সহজে জানতে পারবে কে শংসাপত্র নিয়েছেন। শোভনবাবু জানান, অনেকে ভুল তথ্য দেখিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন। তা বন্ধ করতে পুলিশ, পরিবেশ ও পরিবহণ দফতরের মধ্যে সমন্বয় হবে। বর্তমানে শহরে যান দূষণ মাপার জন্য ৭০টি কেন্দ্র রয়েছে। তা বাড়িয়ে ১৩৯টি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে শহরের বিভিন্ন স্থানে দূষণ মাপার যন্ত্রও বসানো হবে। এর পাশাপাশি, শহরে বিদ্যুৎচালিত যান ব্যবহার করার উপর জোর দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানান পরিবেশমন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE