প্রতীকী ছবি।
শহরের ঐতিহ্য রক্ষায় শুধুমাত্র সরকারি প্রচেষ্টাই যথেষ্ট নয়। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাও যদি এগিয়ে আসে, তা হলে সামগ্রিক চেষ্টায় শহরের ঐতিহ্য রক্ষা করা যাবে। এমনটাই মনে করছে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন।
কমিশনের চেয়ারম্যান শুভাপ্রসন্ন রবিবার বলেন, ‘‘সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগও যদি ঐতিহ্য রক্ষার ক্ষেত্রে চোখে পড়ে, তার থেকে ভাল আর কিছু হতে পারে না। বিচ্ছিন্ন ভাবে সেই প্রচেষ্টা বা ব্যক্তিগত উদ্যোগ চোখেও পড়ছে।’’ এ দিনই শহরের ঐতিহ্য রক্ষার জন্য সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ নিয়ে একটি আলোচনাসভা ছিল।
হেরিটেজ কমিশন সূত্রের খবর, ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য বর্তমান যে আইন রয়েছে, তাতে বিস্তর ফাঁকও রয়েছে। সেই ফাঁক দিয়েই নষ্ট হচ্ছে একের পর এক ঐতিহ্যবাহী বাড়ি বা ভবন। ওল্ড কেনিলওয়ার্থ হোটেল ভেঙে দেওয়া আইনের সেই ফাঁকের কারণেই সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন কমিশনের কর্তারা। তবে শুধু ওই হোটেলই নয়, ধারাবাহিক ভাবে ঐতিহ্যবাহী অনেক বাড়ি ভেঙে ফেলা হচ্ছে বলে কমিশন সূত্রের খবর। যতক্ষণে কমিশনের কাছে সেই খবর পৌঁছচ্ছে, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন কমিশনের কর্তারা। এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘যত দিন না কড়া আইন হচ্ছে, তত দিন ঐতিহ্য সংরক্ষণের কাজ সহজ হবে না। আইনের ফাঁকগুলি কী ভাবে পূরণ করা যায়, তা নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy