Advertisement
E-Paper

হেরিটেজ জট কাটল না ইস্ট ওয়েস্টে

এই প্রকল্পের প্রস্তাবিত রুটে ব্রেবোর্ন রোডে কয়েকটি প্রাচীন সৌধ আছে। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া) আইন মোতাবেক প্রাচীন সৌধের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও নির্মাণ করা যায় না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৭ ০২:১৯

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ ত্বরান্বিত করতে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারি করে হেরিটেজ আইনে সংশোধনী আনা যাবে না। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের আদালতে এ কথা জানাল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জনহিতকর প্রকল্পের জন্য অধ্যাদেশ জারি করে নয়, সরাসরি সংসদে হেরিটেজ আইনে সংশোধনী আনা হবে।

এই প্রকল্পের প্রস্তাবিত রুটে ব্রেবোর্ন রোডে কয়েকটি প্রাচীন সৌধ আছে। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া) আইন মোতাবেক প্রাচীন সৌধের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও নির্মাণ করা যায় না। কেন্দ্রের আইনে সংশোধনী আনা হলে ১০০ মিটারের মধ্যে নির্মাণকাজে ছাড়পত্র পাওয়া সম্ভব। চলতি আইনে এএসআই-এর ছাড়পত্র না মেলায় ইস্ট-ওয়েস্টের কাজ আটকে আছে, এই অভিযোগ তুলে মামলা করেছে ঠিকাদার সংস্থা।

গত সপ্তাহে মামলার শুনানিতে বিচারপতি দত্ত কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কৌশিক চন্দের কাছে জানতে চান, সংসদের বাদল অধিবেশন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ যাতে আটকে না থাকে, সে জন্য প্রয়োজনে অর্ডিন্যান্স জারি করে ছাড়পত্র দেওয়া যায় কি না। বিচারপতি আরও জানতে চেয়েছিলেন, দিল্লিতে একাধিক প্রাচীন সৌধ থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে সেখানে মেট্রোর কাজ হয়েছে।

কৌশিকবাবু আদালতে জানান, কেন্দ্র জানিয়েছে, অর্ডিন্যান্স করে নয়, সংসদের বাদল অধিবেশনেই ওই সংশোধনী পাস করাতে হবে। তিনি আরও জানান, দিল্লিতে প্রাচীন সৌধের ১০০ মিটারের মধ্যে মেট্রোর কাজ হয়নি। সব কাজ হয়েছে নিয়ন্ত্রিত এলাকা অর্থাৎ ১০০-৩০০ মিটারের মধ্যে। ২০১০ সালে পরিবর্তিত হেরিটেজ আইন অনুযায়ী, নিয়ন্ত্রিত এলাকার মধ্যে প্রয়োজনে এএসআই ছাড়পত্র দিতে পারে।

কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল)-এর তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, ২০০৮-এ প্রকল্পের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল। তাই ২০১০-র আইন অনুযায়ী নয়, পুরনো আইন অনুযায়ী ছাড়পত্র পাওয়া উচিত। বিকাশবাবু জানান, হাওড়ার দিক থেকে গঙ্গার নীচে সুড়ঙ্গ কাটতে কাটতে কলকাতার দিকে স্ট্র্যান্ড রোডের কাছাকাছি এসেছে টানেল বোরিং মেশিন। ওই যন্ত্র মাঝপথে আটকে রাখা যাবে না বলে আদালতে দাবি করেছেন কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের আরও দাবি, ১৬ বা ১৭ জুনের মধ্যে ওই যন্ত্র কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে পৌঁছবে। পরবর্তী শুনানি ১৫ জুন।

East West Metro Tunnel হেরিটেজ Heritage
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy