Advertisement
E-Paper

প্রবেশিকা বন্ধ, যাদবপুরে ধর্নায় পড়ুয়ারা

শেষ পর্যন্ত কলা বিভাগের ভর্তি-পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তার বিরোধিতায় সোমবার ধর্নায় বসে পড়েন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৮ ০২:৫২
অনড়: অবস্থান বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। ছবি: রণজিৎ নন্দী

অনড়: অবস্থান বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। ছবি: রণজিৎ নন্দী

কিছু বিষয়ে সরাসরি ভর্তি আর কোনও কোনও বিষয়ে প্রবেশিকা, এমন ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আপত্তি জানিয়ে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত কলা বিভাগের ভর্তি-পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তার বিরোধিতায় সোমবার ধর্নায় বসে পড়েন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। ভিতরে আটকে পড়েন উপাচার্য এবং কর্মসমিতির অন্য সদস্যেরা।

গত জুলাইয়েও যাদবপুরের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে কিছু বিষয়ে ভর্তির পরীক্ষা নেওয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। তার পরে, গত নভেম্বরে তিনি জানিয়ে দেন, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে কলা বিভাগের প্রতিটি বিষয়ে নম্বরের ভিত্তিতেই ভর্তি নিতে হবে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ভর্তির নিয়ম হবে একটাই। কিছু বিষয়ে নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি আর কিছু ক্ষেত্রে প্রবেশিকা— এটা কোনও মতেই চলতে পারে না। সম্প্রতি অবশ্য তিনি জানান, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।

যাদবপুরে গত বছর ইংরেজি, তুলনামূলক সাহিত্য, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও দর্শনে ভর্তির পরীক্ষা হয়েছিল। এ বার বাংলা, ইতিহাসেও প্রবেশিকার সিদ্ধান্ত হয়। ঠিক ছিল, ভর্তি-পরীক্ষা হবে ৩ থেকে ৬ জুলাইয়ের মধ্যে। ভর্তির বিজ্ঞপ্তিও দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। তার পরেই শুরু হয় নতুন বিতর্ক।

ভর্তির পরীক্ষা আদৌ নেওয়া হবে কি না, কিছু দিন আগে কর্মসমিতির বৈঠকে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। এ দিন ফের বৈঠকে বসে কর্মসমিতি। তার পরেই প্রবেশিকা আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভর্তির জন্য আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে করা হয় ২ জুলাই। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘‘ভর্তি-পরীক্ষা নিয়ে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। আইনজ্ঞের পরামর্শ চেয়েছি। পড়ুয়াদের জানিয়েছি, ওই পরামর্শ আমাদের কাছে এসে পৌঁছলেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী সোমাশ্রী চৌধুরী জানান, যদি আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়, কর্তৃপক্ষ তার সমাধান করুন। যত ক্ষণ না সমাধান হচ্ছে, কর্মসমিতির সভার বাইরে বসে থাকবেন তাঁরা।

‘‘ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কিন্তু সেই কমিটির সিদ্ধান্ত বাতিল করছে কর্মসমিতি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত স্বাধিকারে সরাসরি আঘাত,’’ বলেন যাদবপুরের শিক্ষক সমিতি (জুটা)-র সাধারণ সম্পাদিকা নীলাঞ্জনা গুপ্ত।

Agitation Jadavpur University যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy