বিক্ষোভ: এ ভাবেই ঘেরাও হয়ে রয়েছেন অধ্যাপকেরা। মঙ্গলবার, বিদ্যাসাগর কলেজে। —নিজস্ব চিত্র।
কলেজে দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে পড়ুয়াদের আন্দোলন। যার জেরে মঙ্গলবার সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে গেল পঠনপাঠন। এমনকী, গেটে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষকদের আটকে রাখারও অভিযোগ উঠল বিদ্যাসাগর কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, গত মাসে বিদ্যাসাগর কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি এবং পরিচালন সমিতিকে নিষ্ক্রিয় করে রাখার অভিযোগ ওঠে। তার জেরে পরিচালন সমিতির বিলুপ্তি ঘটিয়ে যুগ্ম ডিপিআই সঞ্জীবন সেনগুপ্তকে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। যদিও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে এ দিন হঠাৎ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন দিবা বিভাগের বিদায়ী ছাত্র সংসদের সদস্যেরা।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে সব দলকে ডাক মুখ্যমন্ত্রীর
প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার অভিযোগ, বিদায়ী ছাত্র সংসদের কয়েক জন ক্লাসে গিয়ে জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এর পর্দা ফাঁস না হওয়া পর্যন্ত কেউ যেন ক্লাস না করেন। এর পরে পড়ুয়াদের বাইরে বেরিয়ে যেতে বলা হয় বলে অভিযোগ। ফলে বন্ধ হয়ে যায় পঠনপাঠন। চারুচন্দ্র, জয়পুরিয়ার পরে বিদ্যাসাগর কলেজেও যে ভাবে প়ড়ুয়াদের বিক্ষোভ-আন্দোলন হচ্ছে, তাতে শিক্ষা মহল উদ্বিগ্ন।
সংসদের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মনিরুল মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা দুর্নীতির বিষয়ে সকলকে এক হওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু ক্লাস থেকে বেরিয়ে যেতে বলিনি।’’ তবে অর্থনীতির এক শিক্ষক স্পষ্ট বলেন, ‘‘দরজায় তালা দিয়ে আমাদেরও আটকে রেখেছে। কেউ বেরোতে পারিনি।’’ শিক্ষকদের আটকে রাখার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন আন্দোলনকারীরা।
তবে, এ দিনের বিক্ষোভে কয়েক জন বহিরাগতকেও দেখা গিয়েছে। আর তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ। কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম কুণ্ডু দাবি করেছেন, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তদন্ত করা হয়েছিল। সেখানে গাফিলতির প্রমাণ মেলেনি। তার পরে ফের উচ্চশিক্ষা দফতরে অভিযোগ হওয়ায় প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। ‘‘প্রতিবাদ জানানোর একটা পদ্ধতি রয়েছে। পড়ুয়ারা যে ভাবে বিক্ষোভ দেখাল, সেটা ঠিক বলে আমার মনে হয়নি,’’ বলেন কলেজের অধ্যক্ষ গৌতমবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy