কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ তুললেন পড়ুয়ারা। তাঁর অপসারণের দাবিতে শুক্রবার দুপুর থেকে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের একাংশ। অভিযোগ, ওই অধ্যাপক এক ছাত্রীর সঙ্গে অভব্যতা করেছেন। ‘অশালীন ভাবে তাঁকে স্পর্শ’ করেছেন। ক্লাসের ভিতরে এবং বাইরে নানা ভাবে ওই ছাত্রীকে হেনস্থা করেছেন। তবে এখনও থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ নিয়ে প্রথমে কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের দ্বারস্থ হন প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। পরে ইউনিয়নের উদ্যোগেই ছাত্রছাত্রীরা বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। প্রিন্সিপাল ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের ঘরের সামনে শুরু হয় পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।
আরও পড়ুন:
অভিযুক্ত অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল আনন্দবাজার ডট কম-এর তরফে। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। অন্য দিকে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ইন্দ্রনীল এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি শুনে তার পর মন্তব্য করবেন।
ছাত্রছাত্রীরা কর্তৃপক্ষের কাছে যে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন, তাতে দাবি, আগেও সংশ্লিষ্ট অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। প্রতি বছর প্রথম বর্ষের কোনও না কোনও ছাত্রী তাঁর ‘শিকার’ হন। কিন্তু একাধিক বার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনও লাভ হয়নি। ডেপুটেশনে অন্য এক মহিলা অধ্যাপকের নামও করেছেন পড়ুয়ারা। অভিযোগ, নির্যাতিত ছাত্রী তাঁকে বিষয়টি জানালে তিনি অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। উল্টে ওই ছাত্রীকেই পিছন দিকের বেঞ্চে অধ্যাপকের নজরের আড়ালে বসার পরামর্শ দিয়েছেন। অবিলম্বে তাঁর কাছ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমার দাবি জানিয়েছন অধ্যাপকেরা। এ ছাড়া, অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গড়ে অনুসন্ধানের দাবি জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা।
বিকেলে অভিযুক্ত শিক্ষক বিভাগীয় প্রধান পদে ইস্তফা দেন। তাঁর স্থলে মৈত্রেয়ী মণ্ডলকে বিভাগীয় প্রধান নিযুক্ত করা হয়েছে।