আগামী বছর ১২ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিকের চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা। অথচ এখনও ক্লাসই শুরু হল না। হাতে চার মাস সময়। এই পরিস্থিতিতে স্কুলের নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য অনলাইন ক্লাসের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এমনটাই জানিয়েছেন।
স্কুলগুলিতে এখন পুজোর ছুটি। খুলবে ২৫ অক্টোবর। আগামী মাসগুলিতেও রয়েছে বেশ কিছু ছুটি। টানা ছুটিও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাঠ্যক্রম শেষ না হলে কী ভাবে পরীক্ষা দেবে তারা, চিন্তিত পড়ুয়ারা। কয়েক জন অভিভাবক চতুর্থ সিমেস্টারে পাঠ্যক্রম কমানোর আর্জি জানিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে চিঠিও দিয়েছেন। যদিও সেই পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে সংসদ। বরং অনলাইন ক্লাস করে পাঠ্যক্রম শেষ করার কথা জানানো হয়েছে। সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের স্বার্থ ভেবে শিক্ষকদের বলব স্কুলে নিয়মিত ক্লাস ছাড়াও অনলাইন ক্লাস নিতে। এই নিয়ে আমরা শীঘ্র বিজ্ঞপ্তি জারি করব।’’
সংসদ-সভাপতি আরও জানিয়েছেন, স্কুলগুলি বছরে ৬৫ দিন ছুটি পায়। অনেক স্কুল ৬৫ দিন ছুটির মধ্যে কিছু ছুটি বাঁচিয়ে বড়দিনে সাত-আট দিন ছুটি দেয়। তখন অনলাইন ক্লাস করতে পারবে স্কুলগুলি। মাধ্যমিকের টেস্ট শুরু হচ্ছে ৩ নভেম্বর থেকে। চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। ওই সময়েও বেশির ভাগ স্কুলেই ক্লাস হয় না। দ্বাদশ শ্রেণির অনলাইন ক্লাস হতে পারে তখনও। ডিসেম্বরের প্রথম থেকে তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক পরীক্ষা হবে। এই সময়ও অনেক স্কুলেই ক্লাস হয় না। তখনও দ্বাদশের চতুর্থ সিমেস্টারের জন্য অনলাইন ক্লাস হতে পারে। এ ছাড়াও স্কুল চলাকালীন শিক্ষকেরা তাঁদের সুবিধা মতো অনলাইন ক্লাস করতে পারবেন।
চিরঞ্জীব বলেন, ‘‘এ বারই প্রথম বার উচ্চ মাধ্যমিক নতুন নিয়মে হচ্ছে। যে কোনও কিছু চালু হলে কিছু অসুবিধা হয়। সে সব দূর করতে পড়ুয়াদের স্বার্থে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। তাই শিক্ষকদের আর্জি জানাচ্ছি, তাঁরা যেন অনলাইন ক্লাস নিয়ে হলেও পাঠ্যক্রম শেষ করেন।’’ শিক্ষকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আগেও গরমের ছুটির সময়ে দ্বাদশের তৃতীয় সিমেস্টারের পাঠ্যক্রম শেষ করতে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার কথা বলেছিল সংসদ। তবে এ বার পাঠ্যক্রম শেষ করতে অনলাইন ক্লাস জরুরি।
সংসদের এক কর্তার মতে, ‘‘লক্ষ্মী পুজো থেকে কালী পুজো পর্যন্ত এখনের এই লম্বা ছুটিতেও শিক্ষকেরা চাইলে অনলাইন ক্লাস নিতে পারেন। ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে একাদশ শ্রেণিতেই দ্বাদশ শ্রেণির সব পড়ুয়ারা ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা পেয়েছে। তাই এখন প্রতিটি দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার কাছেই ট্যাব থাকার কথা। শিক্ষকদের সদিচ্ছা থাকলে অনলাইন ক্লাস করে পাঠ্যক্রম শেষ করতে অসুবিধা কোথায়?’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)