Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ দেশ ছেড়ে কোথায় যাব, প্রশ্ন মেটিয়াবুরুজের দর্জিদের

মেটিয়াবুরুজ অঞ্চলের বিভিন্ন কারখানায় তৈরি পোশাক দেশের অন্য রাজ্য ছাড়াও রফতানি হয় বিদেশে। পোশাক তৈরির সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার মানুষ।

তৃণমূলের মিছিলে।—ছবি পিটিআই।

তৃণমূলের মিছিলে।—ছবি পিটিআই।

মেহবুব কাদের চৌধুরী
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:৩০
Share: Save:

নোটবন্দি ও জিএসটি ওঁদের ঘুম কেড়েছিল আগেই। এ বার নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সোমবার মিছিলে পা মেলালেন মেটিয়াবুরুজের দর্জি ও ওস্তাগরেরা।

মেটিয়াবুরুজ অঞ্চলের বিভিন্ন কারখানায় তৈরি পোশাক দেশের অন্য রাজ্য ছাড়াও রফতানি হয় বিদেশে। পোশাক তৈরির সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার মানুষ। এ দিন তৃণমূলের মিছিলে আসা ওই বস্ত্র ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের আমলে জিএসটি চালু হওয়া ও নোটবন্দির জেরে ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, নতুন আইন প্রয়োগ হলে এ বার তাঁদের এলাকা ছাড়তে হবে। ওই ব্যবসায়ীদের দাবি, কেন্দ্রের একের পর এক নীতি ও আইনের প্রতিবাদেই সোমবার তাঁরা মিছিলে পা মিলিয়েছেন।

এ দিন মেটিয়াবুরুজ থেকে প্রায় এক হাজার জন তৃণমূলের মিছিলে যোগ দেন। মিছিলের পুরোটাই হেঁটেছেন তাঁরা। কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করে কলকাতা পুরসভার ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মমতাজ বেগম অভিযোগ করেন, ‘‘নোটবন্দি ও জিএসটির কারণে বহু ব্যবসায়ী সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এ বার মোদীজি আমাদের দেশ থেকে তাড়ানোর আইন করেছেন। এই আইন এ রাজ্যে কোনও মতেই প্রয়োগ করতে দেব না।’’ মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে নাদিয়ালের ওস্তাগর শেখ হামিদের অভিযোগ, ‘‘নোটবন্দির আগে আমার কাছে ৩০ জন কর্মী ছিলেন। এখন ১০ জন রয়েছেন। কাজ অনেক কমে গিয়েছে। আয়ও অর্ধেক হয়েছে।’’ আর এক ওস্তাগর শেখ আজানুরের কথায়, ‘‘নতুন নাগরিকত্ব আইন আমাদের বেশি করে সঙ্কটে ফেলবে। তিন পুরুষ ধরে এখানে বাস করছি। আদি বাড়ির প্রামাণ্য কাগজপত্র এখন কোথায় পাব?’’

আরও পড়ুন: ‘এ আমাদের সকলেরই অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই’

মিছিল থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে আর এক দর্জি নিসার আলি স্পষ্ট বললেন, ‘‘ভারতই আমার দেশ। এখান থেকে কোথাও যাব না।’’

আরও পড়ুন: এই মাটি সকলের, গর্জে উঠল মিছিল

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE