Advertisement
E-Paper

ছটপুজোর আগে চলছে অস্থায়ী ঘাট তৈরির কাজ

শুক্রবার বিকেলেই পুণ্যার্থীরা ছটপুজোর জন্য এই সব ঘাটে আসবেন।

কৌশিক ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২০ ০৪:১৮
তোড়জোড়: ছটপুজো উপলক্ষে রাস্তার উপরেই চলছে কলা বিক্রি। বুধবার, জানবাজারে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

তোড়জোড়: ছটপুজো উপলক্ষে রাস্তার উপরেই চলছে কলা বিক্রি। বুধবার, জানবাজারে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

কোনও জলাশয়ে অস্থায়ী ঘাট তৈরির জন্য বাঁশের কাঠামো পড়েছে জলে। কোথাও জলাশয়ের ধারে দাঁড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে কাঠের পাটাতন। প্রতিটি অস্থায়ী ঘাটের ধার ঘেঁষে জলের মধ্যে কয়েক ফুটের ব্যবধানে করা হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড। ওই ব্যারিকে়ডের লক্ষ্মণরেখা পেরিয়ে যাতে কেউ গভীর জলে না যান, সেই জন্যই ওই ব্যবস্থা। কাঠের পাটাতনগুলির নির্মাণকারীরা তার উপরে দাঁড়িয়ে দেখতে ব্যস্ত কতখানি শক্তপোক্ত সেগুলি। ছটের জন্য নির্দিষ্ট জলাশয়গুলিতে এমনই দৃশ্যের দেখা মিলল বুধবার।

কাল, শুক্রবার বিকেলেই পুণ্যার্থীরা ছটপুজোর জন্য এই সব ঘাটে আসবেন। তার আগে ঘাটগুলি কি পুরো তৈরি করা সম্ভব? কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আজ,

বৃহস্পতিবারের মধ্যে সমস্ত অস্থায়ী ঘাট তৈরি হয়ে যাবে। ফলে, ঘাটের পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। শুধু তা-ই নয়, করোনা পরিস্থিতিতে ঘাটগুলিতে যাতে বেশি ভিড় না হয়, তা নিশ্চিত করতে ৪৪টির পরিবর্তে ৫১টি ঘাট তৈরি করা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

কেএমডিএ সূত্রের খবর, বাইপাস সংলগ্ন অনেক জলাশয় এর জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। নোনাডাঙা, আনন্দপুর এবং পাটুলির জলাশয় ছাড়াও গল্ফ ক্লাব রোড অঞ্চলের দু’টি বড় জলাশয়েও কেএমডিএ ঘাট তৈরির কাজ শুরু করেছে। নোনাডাঙার এক বাসিন্দা, প্রবীর প্রামাণিক বলেন, “এখানে গত বছরেই তিনটি নতুন ঘাট তৈরি হয়েছিল। এ বার আরও তিনটি স্থায়ী ঘাট তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু পুকুরটি কচুরিপানায় ভরে থাকার ফলে জলাশয়ে নামতে অসুবিধা হচ্ছে। তবে সেগুলি তুলে ফেলার কাজও শুরু হয়েছে।’’

কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকেও গঙ্গা-সহ শহরের ৬৩টি জায়গায় মোট ১৪৩টি ঘাট তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করে সেখানে ছটপুজোর ব্যবস্থা হয়েছে। রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম বুধবার দক্ষিণ কলকাতার একটি জলাশয় পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে পুণ্যার্থীরা যাতে ভিড় না করে বাড়ির কাছেই কোনও জলাশয়ে পুজো দিতে পারেন, তার জন্যই অস্থায়ী ঘাট এবং কৃত্রিম জলাশয় তৈরির জন্য বলা হয়েছিল। পুজোর পরেই সেগুলি সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করা হবে।’’

অস্থায়ী ঘাটের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি গঙ্গার ঘাটগুলিতে পুণ্যার্থীদের পোশাক পাল্টানোর অস্থায়ী ঘর তৈরি করা হয়েছে পুরসভার তরফে। করোনা সংক্রান্ত সব বিধি মানা ও মাস্ক পরা আবশ্যিক বলেও পুর কর্তৃপক্ষ ঘাটে মাইকে ঘোষণার ব্যবস্থা করেছেন। পুণ্যার্থীরা যাতে একসঙ্গে ভিড় না করেন, সেই ব্যাপারেও সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত কয়েক বছর ধরেই রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধায় কেএমডিএ-র তরফে রবীন্দ্র সরোবর সংলগ্ন এলাকার কয়েকটি জলাশয়ে বেশ কিছু স্থায়ী এবং অস্থায়ী ঘাট তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু উত্তর কলকাতায় কেএমডিএ-র তরফে এই উদ্যোগে খামতি রয়েই গিয়েছে বলে অভিযোগ।

এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, “প্রাথমিক ভাবে যে সমীক্ষা করা হয়েছে, তাতে উত্তর কলকাতায় জলাশয়ের ধারে জায়গার অভাবেই ঘাট তৈরিতে সমস্যা রয়েছে। সেখানে মূল ছটপুজো গঙ্গাতেই হয়। পুরসভা থেকে বরো এলাকায় যতগুলি পুকুর রয়েছে, সেখানেই পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

Chhath Puja Kolkata Police KMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy