দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকায় দু’টি স্কুটারের সঙ্গে একটি মোটরবাইকের সংঘর্ষে দুই তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় বাইকচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল পুলিশের কাছে। রবিবার দক্ষিণ বন্দর থানায় মৃত এক তরুণের পরিবারের তরফে ওই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বাইকচালক সৌম্যজ্যোতি দাসের বিরুদ্ধে। বর্তমানে গুরুতর জখম অবস্থায় ওই অভিযুক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে শনিবার দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ, দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকার কাঁটাপুকুরের সিআইএসএফ গ্রাউন্ডের কাছে। তাতে মৃত্যু হয় দুই স্কুটার আরোহীর। জখম হন অভিযুক্ত যুবক-সহ দু’জন। মৃতদের নাম মহম্মদ আরকান সাদিক (১৭) এবং আরিফ হোসেন (৩২)। আরকানের বাড়ি একবালপুরের ভূকৈলাস রোডে, আরিফ থাকতেন মহেশতলার কাজিপাড়ায়। আরকানের বাবা গুলাম সুভানি ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন সৌম্যজ্যোতির বিরুদ্ধে। যার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের ট্র্যাফিক বিভাগের ফেটাল স্কোয়াড।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সিআইএসএফ গ্রাউন্ডের রাস্তা দিয়ে আরকান একটি স্কুটার চালিয়ে যাচ্ছিল বাড়ির দিকে। পাশ দিয়ে যাচ্ছিল আরও একটি স্কুটার। তাতে পিছনের সিটে বসে ছিলেন আরিফ। অভিযোগ, উল্টো দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে বাইক চালিয়ে এসে সৌম্যজ্যোতি সরাসরি ধাক্কা মারেন ওই দুই স্কুটারে। তাতে দু’টি স্কুটার এবং বাইকে থাকা পাঁচ জনই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সৌম্যজ্যোতির বাইকের পিছনে বসে থাকা মহম্মদ শামিমও।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বেপরোয়া গতিতে বাইকটিকে আসতে দেখে স্কুটার দু’টি এক দিকে সরে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও স্কুটার দু’টিতে ধাক্কা মারেন বাইকচালক। বাইকচালকের মাথায় হেলমেট ছিল না বলে পুলিশ জেনেছে। এক পুলিশকর্তা জানান, ওই রাস্তা বন্দর এলাকার সিআইএসএফের নিয়ন্ত্রণাধীন। ওই রাস্তায় স্কুটার, মোটরবাইক ছাড়া কিছুই চলাচল করে না। তা-ও যাতে চলতে না পারে, তার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)