Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
SSKM Hospital

মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি মৃত বন্দির পরিবারের, খুন ও দেহ লোপাটের নালিশ

প্রেসিডেন্সি জেলের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাওড়ার আমতার বাসিন্দা বাবলুকে গত ২০ অক্টোবর এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

An image of SSKM Hospital

এসএসকেএম হাসপাতাল। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:৩৩
Share: Save:

এসএসকেএম হাসপাতালের মর্গ থেকে এক সাজাপ্রাপ্ত বন্দির দেহ উধাও হওয়ার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হল মৃতের পরিবার। গত সোমবার ওই পরিবারের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে এই সংক্রান্ত চিঠি জমা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, সেই চিঠিতে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ওই বন্দিকে প্রেসিডেন্সি জেলে খুন করা হয়েছে এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্যই মৃতদেহ মর্গ থেকে গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। চিঠি আকারে এই অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে রাজ্যপাল এবং মানবাধিকার কমিশনের দফতরেও। বাবলু পোল্লে নামে ওই বন্দির পরিবারের আইনজীবী নবজ্যোতি রায় জানান,
সুবিচারের আশাতেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর-সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও খুব দ্রুতই নিয়ম মেনে ঘটনাটির বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্সি জেলের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাওড়ার আমতার বাসিন্দা বাবলুকে গত ২০ অক্টোবর এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পরেই তাঁর দেহ পাঠানো হয় ওই হাসপাতালের মর্গে। ঠিক হয়, ২৩ অক্টোবর এসএসকেএমে বাবলুর দেহের ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের সুরতহাল হবে। তার জন্য ওই দিন মর্গে যান কলকাতা পুলিশের এক সহকারী নগরপাল। তিনি মর্গে বাবলুর দেহ না পেয়ে হাসপাতালের দ্বারস্থ হন। এর পরে দেহের খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, মহেশতলার বাসিন্দা এক ব্যক্তির দেহের সঙ্গে অদলবদল হয়ে গিয়েছে বাবলুর দেহ। এমনকি, মহেশতলার সেই বাসিন্দার পরিবারের সদস্যেরা বাবলুর দেহ নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য করে ফেলেছেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, পরিবারের তরফে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে দাবি করা হয়েছিল, বাবলুকে জেলে খুন করার পরে দেহ লোপাট করে ফেলা হয়েছে। এ নিয়ে কোনও মামলা রুজু না হলেও পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সেই সূত্রেই পুলিশ মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সি
জেলে যায়। সেখানকার চিকিৎসক এবং কর্মীদের বয়ান নথিভুক্ত করে। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভি ফুটেজও। কার গাফিলতিতে ওই দেহ উধাও হয়েছে, তা জানতে পুলিশ এসএসকেএম হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির কর্মী ও অফিসারদের জেরা করেছে। ওই বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই হেস্টিংস থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। সেই তদন্ত চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE