Advertisement
E-Paper

Dead body: ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন দেবিকা। কয়েক মাস আগে তাঁর বিবাহ- বিচ্ছেদ হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২২ ০৬:১৩
ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুর থানা এলাকার মহাত্মা গান্ধী রোডে।

ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুর থানা এলাকার মহাত্মা গান্ধী রোডে। প্রতীকী ছবি।

আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম দেবিকা চট্টোপাধ্যায় (৩৩)। ঘটনাটি ঘটেছে হরিদেবপুর থানা এলাকার মহাত্মা গান্ধী রোডে। সেখানে একটি ১৭তলা আবাসনের ১৪তলার ফ্ল্যাটে মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন দেবিকা। শনিবার রাত ২টো নাগাদ ওই দম্পতিই ঘরে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখেন। দেবিকাকে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ওই চিকিৎসক আত্মঘাতী হয়েছেন। তদন্তকারীদের দাবি, দেবিকার ঘর থেকে একটি চিরকুট মিলেছে। তাতে ওই চিকিৎসক তাঁর মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করেননি। তবে চিরকুটের লেখাটি দেবিকার হাতের লেখা কি না, তা যাচাই করে দেখছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন দেবিকা। কয়েক মাস আগে তাঁর বিবাহ- বিচ্ছেদ হয়। পরিবার সূত্রের খবর, তার পর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন ওই চিকিৎসক। বাড়ির বাইরে খুব একটা বেরোতেন না।

পুলিশ জেনেছে, শনিবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পরে নিজের ঘরে চলে যান দেবিকা। রাতে মেয়ের ঘর ভিতর থেকে বন্ধ দেখে এবং বহু ক্ষণ তাঁর সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় মা মাধবী ও বাবা দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়ের। রাত ২টো নাগাদ তাঁরা মেয়ের ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। তখনই দেবিকাকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে নামান দেবাশিস। দেবিকাকে অচৈতন্য অবস্থায় বিছানায় শোয়ানো হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আবাসনে কয়েক বছর ধরে থাকছিলেন দেবিকারা। তবে ওই চিকিৎসক অন্য আবাসিকদের সঙ্গে তেমন মিশতেন না। কয়েক জন আবাসিক জানান, ঘটনার আকস্মিকতায় তাঁরা হতবাক। শনিবার রাতেই কয়েক জন ঘটনার কথা জেনে দেবিকাদের ফ্ল্যাটে ছুটে আসেন। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে মৃতার দেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তাঁর পরিবারের তরফে রবিবার রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগও দায়ের হয়নি।

dead body found haridebpur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy