Advertisement
E-Paper

গঙ্গায় ডুবে যাওয়ার চার দিন পরেও নিখোঁজ রেস্তোরাঁ-কর্তা

শনিবার পিকনিক চলাকালীন ‘শিবানী’ নামের যে লঞ্চ থেকে অরিন্দমবাবু নিখোঁজ হয়ে যান, মঙ্গলবার সকালে সেটি ঘুরে দেখে তিন সদস্যের ওই বিশেষজ্ঞ দলটি। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম বন্দর থানার তদন্তকারী অফিসার-সহ লালবাজারের গোয়েন্দারাও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৫১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

গঙ্গায় ভাসমান একটি রেস্তোরাঁর কর্তা অরিন্দম বসুর নিখোঁজ হওয়ার তদন্তে নেমে পুলিশকে ওই লঞ্চের নকশা জোগাড় করতে বলল ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তাঁরা জানিয়েছেন, ওই নকশা হাতে পেলে তার সঙ্গে লঞ্চের বর্তমান কাঠামো মিলিয়ে দেখা হবে। তাঁদের সন্দেহ, জলে নামার ছাড়পত্র পাওয়ার পরে ওই লঞ্চের কাঠামোয় বিনা অনুমতিতেই বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছিল। ওই হোটেল-কর্তার জলে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে লঞ্চের নকশাগত ত্রুটির কোনও সম্পর্ক আছে কি না, আপাতত সেটাই জানতে চান তাঁরা। লঞ্চকে জলে নামার ওই ছাড়পত্র দেয় ‘ইনল্যান্ড ওয়াটার সার্ভিস’। পুলিশ তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করবে।

তদন্তকারীরা জানান, শনিবার পিকনিক চলাকালীন ‘শিবানী’ নামের যে লঞ্চ থেকে অরিন্দমবাবু নিখোঁজ হয়ে যান, মঙ্গলবার সকালে সেটি ঘুরে দেখে তিন সদস্যের ওই বিশেষজ্ঞ দলটি। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম বন্দর থানার তদন্তকারী অফিসার-সহ লালবাজারের গোয়েন্দারাও।

পুলিশ সূত্রের খবর, লঞ্চের উপরের কেবিনে যে রেলিং রয়েছে, এ দিন সেগুলির উচ্চতা মেপে দেখেন ওই বিশেষজ্ঞেরা। অসাবধানতাবশত সেখান থেকে কেউ জলে পড়ে যেতে পারে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হয়। তাঁরা দেখেন, কেবিনে ওঠার সিঁড়িতে কোনও রেলিং নেই। সেই সিঁড়ি থেকে লঞ্চের পাটাতন এবং গঙ্গার জলতল কতটা নীচে, তা-ও মেপে দেখা হয়। সিঁড়ির দু’দিকে কোনও গার্ডরেল কেন ছিল না, লঞ্চকর্মীদের কাছে তা-ও জানতে চাওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ওই সিঁড়ি থেকেই অরিন্দমবাবু জলে পড়ে যান।

ঘটনার সময়ে লঞ্চটি কত জোরে চলছিল, তা জেনে নিয়ে সেই গতিবেগে সেটিকে চালাতে বলেন বিশেষজ্ঞেরা। পাশাপাশি, ঘটনার আগে লঞ্চের মধ্যে কী কী পানভোজন হয়েছিল, তারও খোঁজ নেওয়া হয়।

এ দিনও সকাল থেকেই জলে নামেন রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডুবুরিরা। রিভার ট্র্যাফিক পুলিশের জেট স্কি নিয়েও গঙ্গায় তল্লাশি চালানো হয় বজবজ পর্যন্ত। শনিবার থেকেই ওই কর্তার খোঁজে গঙ্গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ভাসমান হোটেলের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অরিন্দম বসুর গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়াটা দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে হলেও, তদন্তে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন না তাঁরা। তাই এ দিন খুনের অভিযোগের তদন্তে নিয়ম মেনেই ঘটনাস্থলে যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। পরে তাঁদের পরামর্শ মতো লঞ্চটিকে বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।

restaurant Kolkata কলকাতা
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy