Advertisement
E-Paper

জুতো কারখানার কর্মীর দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার মালিক

মিতেন্দ্র বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে, তপসিয়ার বাঁশবাগান এলাকার ওই জুতো কারখানায় কাজ করতেন। পরে বাড়ির কাছের অটো স্ট্যান্ডে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:১৭
কারখানার মালিক মহম্মদআকিব হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের মামলা দায়ের করেছেন তদন্তকারীরা।

কারখানার মালিক মহম্মদআকিব হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের মামলা দায়ের করেছেন তদন্তকারীরা। প্রতীকী ছবি।

বাড়ির সামনের অটো স্ট্যান্ডে পড়ে ছটফট করছেন এক যুবক। তাঁর শরীরের একাধিক কাটা জায়গা থেকে গলগল করে রক্ত ঝরছে। যন্ত্রণায় চিৎকার করছেন তিনি। শনিবার সাতসকালে তিলজলা থানা এলাকায় রাস্তার উপরে এমন দৃশ্য দেখে চমকে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত ওই যুবকের বাড়িতে খবর যায়। এর পরে স্থানীয়েরাই তাঁকে ধরাধরি করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মিতেন্দ্র পাসোয়ান (৩৭)। পঞ্চান্নগ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি একটি জুতো কারখানায় কাজ করতেন। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ওই কারখানার মালিক মহম্মদআকিব হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের মামলা দায়ের করেছেন তদন্তকারীরা।

জানা গিয়েছে, মিতেন্দ্রের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং দুই শিশুসন্তান। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে, তপসিয়ার বাঁশবাগান এলাকার ওই জুতো কারখানায় কাজ করতেন তিনি। প্রতিদিন সকাল ৭টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাতে ফিরতেন। এ দিন সকালেও কাজে বেরিয়েছিলেন মিতেন্দ্র। পরে বাড়ির কাছের অটো স্ট্যান্ডে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। তাঁর বাঁ হাতে ছুরি দিয়ে কোপানোর দাগ ছিল। আঘাতের চিহ্ন ছিল পায়ে, পিঠে কালশিটে। স্থানীয়েরাই তাঁকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃতের এক আত্মীয় বলেন, ‘‘সকাল ৯টা নাগাদ এক জন এসে বললেন, মিতেন্দ্র রাস্তায় পড়ে আছে। গিয়ে দেখি, রক্তারক্তি কাণ্ড। এর পরে কিছুটা জল খেল ও। তার পরে আর কথা বলেনি।’’ মিতেন্দ্রকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। এ দিন ঘটনাস্থলে যায় কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, কয়েক দিন ধরেই আকিবের সঙ্গে সমস্যা চলছিল মিতেন্দ্রের। এ দিন সকালে কাজে গেলে সেখানে ফের দু’জনের বচসা শুরু হয়, যা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। তখন সেখানেই তাঁকে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে মারপিটের অভিযোগ দায়ের করতে নিজেই থানায় আসছিল আকিব। অবশ্য তার আগেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জেনেছে, মারধরের পরে আকিবই জখম মিতেন্দ্রকে রিকশায় চাপিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন, ‘‘তদন্তের জন্য বেশ কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, তা জানতে কারখানার বাকি কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ’’

Death shoe factory arrest police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy