শুক্রবার বাইক-ট্যাক্সি নিয়ে নির্দেশিকা জারির পরে দ্রুত অ্যাপ-ক্যাব নিয়েও উদ্যোগী হতে চলেছে। প্রতীকী ছবি।
নির্দেশিকা জারি করার পরে বছর ঘুরে গেলেও নানা জটিলতায় শুরুই করা যায়নি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণের কাজ। সমস্যার পাহাড় জমে রয়েছে মোটরবাইক-ট্যাক্সি নিয়েও। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে ক্ষোভ জমতে থাকায় এ বার নড়ে বসেছে সরকার। শুক্রবার বাইক-ট্যাক্সি নিয়ে নির্দেশিকা জারির পরে দ্রুত অ্যাপ-ক্যাব নিয়েও উদ্যোগী হতে চলেছে তারা।
বাণিজ্যিক লাইসেন্স পাওয়া সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দীর্ঘ দিন বাইক-ট্যাক্সিচালকদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তাঁদের নাম-পরিচয় নথিভুক্ত না-থাকায় পরিষেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল যাত্রীদের। অতীতে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার মাধ্যমে ১৫টি বাইকের জন্য একসঙ্গে লাইসেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হলেও তাতে সমস্যা মেটেনি। বাইক-ট্যাক্সির সংস্থাগুলি চালকদের সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। সম্প্রতি অ্যাপ-ক্যাব এবং বাইক-ট্যাক্সির প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। সেখানেই বাইক-ট্যাক্সিকে এককালীন এক হাজার টাকার বিনিময়ে পাঁচ বছরের লাইসেন্স দেওয়ার কথা জানান তিনি।
শুক্রবার পরিবহণ সচিবের জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কলকাতা, হাওড়া ও বিধাননগরে বাইক-ট্যাক্সির লাইসেন্স দেওয়া হবে। এ দিন সরকারি এই সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এআইইউটিইউসি-র বাইক-ট্যাক্সি সংগঠনের নেতা শান্তি ঘোষ। চালকদের শিবির করে লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন তিনি।
অ্যাপ-ক্যাবের ক্ষেত্রে এক বছর আগে জারি হওয়া নির্দেশিকা বলবৎ রাখছে। আরও কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। ক্যাব সংস্থাগুলির কলকাতায় নিজস্ব কার্যালয় থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানান মন্ত্রী। যাতে যে কেউ সেখানে অভিযোগ জানাতে পারেন। সংস্থাগুলিকে হেল্পলাইন খোলার কথাও বলা হতে পারে নির্দেশিকায়। যাত্রীদের নালিশের ভিত্তিতে চালকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের না হলে ৩০ দিনের বেশি তাঁদের আইডি আটকে রাখা যাবে না বলেও জানান মন্ত্রী।
চালক সংগঠনগুলির তরফে কিলোমিটার-পিছু ২৫ টাকা ভাড়া ধার্য করার দাবি উঠেছে। সেই সঙ্গে সংস্থার কমিশন ২০ শতাংশের মধ্যে রাখার দাবিও করেছে চালক সংগঠনগুলি। সংস্থাগুলি সরকারকে ভাড়া ও পরিচালনা সংক্রান্ত তথ্য জানাতে সম্মত হয়েছে বলেও খবর।
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’ এবং ‘এআইটিইউসি’-র অ্যাপ-ক্যাব চালক সংগঠনের তরফে ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় ও নওলকিশোর শ্রীবাস্তব সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy