E-Paper

গঙ্গার জলস্তর নেমে দমদমের তিন পুর এলাকায় জোগানে টান 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:২৬
An image of Ganga

—প্রতীকী চিত্র।

তাপমাত্রার পারদ কিছুটা চড়তেই দক্ষিণ দমদম, দমদম এবং উত্তর দমদম ও তার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন পুর এলাকায় জলের চাহিদা বাড়ছে। এ দিকে, গঙ্গার জলস্তর নেমে যাওয়ায় জোগানও গিয়েছে কমে। ফলে সরবরাহ অনেকটাই কমেছে। ভূগর্ভস্থ জল দিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করলেও ঘাটতি অনেকটাই।

ফলে, ফেব্রুয়ারিতেই নজরে আসছে তিন পুর এলাকায় পানীয় জল কেনার বাড়তে থাকা চাহিদা। দমদমের বাসিন্দা, পানীয় জলের এক ব্যবসায়ীর কথায়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জলের চাহিদা ক্রমে বাড়ছে। দক্ষিণ দমদম, দমদম এবং উত্তর দমদম পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ঘাটতি মেটাতে ভূগর্ভস্থ জলের পাশাপাশি এলাকায় ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে জল সরবরাহ চলছে। কেএমডিএ (কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি) সূত্রের খবর, গঙ্গার জলস্তর স্বাভাবিকের থেকে নীচে রয়েছে। ফলে পানীয় জলের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।

বাসিন্দাদের দাবি, প্রতি বছরই শীতের শেষে এই সময় থেকে জলের চাহিদা বাড়ে। তখন জোগান কিছুটা কমও থাকে। তবে, এতটা সমস্যা আগে হয়নি। দমদমের এক বাসিন্দা নিলয় সেনের কথায়, ‘‘বাড়ির জলাধারে জমানো জল দিয়ে দু’দিন সামলানো যায়। বাকিটা রাস্তার ধারের কল থেকে নিতে হচ্ছে। তাতেও সমস্যা মিটছে না। খুব দুর্ভোগে পড়েছি। সামনে ভরা গ্রীষ্ম। কী হবে, ভেবেই আতঙ্ক হচ্ছে।’’

সমস্যার কথা মেনে নিয়ে দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট জানান, তাঁর পুর এলাকায় পানীয় জলের দৈনিক চাহিদা আট মিলিয়ন গ্যালন। তিন মিলিয়নের কিছু বেশি গ্যালন জল কামারহাটি জল প্রকল্প থেকে আসত। বর্তমানে তা আসছে অর্ধেক। অর্থাৎ, দেড় মিলিয়ন গ্যালনের বেশি জল আসছে না। নিজস্ব পাম্প চালিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা চলছে। যে সব এলাকায় সঙ্কট হচ্ছে, সেখানে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হচ্ছে।

উত্তর দমদম পুর এলাকায় আবার ১০-১১টি ওয়ার্ডে এখনই জলের সমস্যা। চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস জানান, একটি জল প্রকল্প থেকে সরবরাহ করা জলের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় অনেকটা কমেছে। ফলে ১০-১১টি ওয়ার্ডে জলের সমস্যা বেড়েছে। নিজস্ব ব্যবস্থা থেকে ওই ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে। আবার দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার প্রায় ২৫টি ওয়ার্ডেও সমস্যা কার্যত একই। শুধু দমদমের তিন পুরসভাতেই নয়, কামারহাটিতেও জল সরবরাহে ঘাটতির প্রভাব পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ওই পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহার আবার দাবি, দু’-তিন দিন সমস্যা হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে সরবরাহকৃত জলের চাপ কম রয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Water crisis Water Level River Ganges Dum Dum Dum Dum municipality

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy