Advertisement
E-Paper

পরিবহণ ক্ষেত্রে একাধিক সংস্থার হাত ধরে কর্মসংস্থান, বিনিয়োগের আশায় দফতর 

একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্য নিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশো মহিলাকে বাইক চালানো ছাড়াও যাত্রী সামলানো সংক্রান্ত নানাবিধ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

ক্রুজ় নির্মাণ শিল্পে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ আশা করছে রাজ্য।

ক্রুজ় নির্মাণ শিল্পে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ আশা করছে রাজ্য। —প্রতীকী চিত্র।

ফিরোজ ইসলাম 

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:৫০
Share
Save

পরিবহণ ক্ষেত্রে একাধিক নতুন পরিষেবা শুরুর মধ্য দিয়ে রাজ্যে শিল্পে বিনিয়োগের দরজা খোলা এবং বিপুল কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে মনে করছে সরকার। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (বিজিবিএস) থেকে স্বাক্ষর হওয়া একাধিক মউ-এর ভিত্তিতে রাজ্যে ক্রুজ় পরিষেবা, বৈদ্যুতিক বাইক, হলুদ ট্যাক্সি এবং মহিলাদের জন্য বাইক-ট্যাক্সি পরিষেবা ক্ষেত্রে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেড় হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ হতে পারে বলে মনে করছে পরিবহণ দফতর।

এ নিয়ে সম্মেলনে তিনটি সংস্থার সঙ্গে পরিবহণ দফতরের মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ছাড়াও একটি বাইক-ট্যাক্সি সংস্থা কলকাতায় মহিলাদের জন্য সাড়ে তিনশো পিঙ্ক বাইকের পরিষেবা শুরুর কথা জানিয়েছে। মহিলা চালকদের মাধ্যমে মহিলা যাত্রীদের ওই পরিষেবা দেওয়া হবে।

সে ক্ষেত্রে ব্যাটারিচালিত বাইক চালুর উপরে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্য নিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশো মহিলাকে বাইক চালানো ছাড়াও যাত্রী সামলানো সংক্রান্ত নানাবিধ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

তবে ক্রুজ় নির্মাণ শিল্পে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ আশা করছে রাজ্য। গঙ্গায় ক্রুজ় নির্ভর পর্যটন পরিষেবার সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত রয়েছে অন্তরা ক্রুজ় সংস্থা। রাজ্যে ওই সংস্থা এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। আরও ৮০০ কোটি টাকা তারা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। নদীপথে পর্যটকদের জন্য ক্রুজ়ের সংখ্যা বাড়াতে এ রাজ্যেই নির্মাণ পরিকাঠামো গড়তে চায় তারা।

গাদিয়াড়ায় স্থানীয়, দক্ষ কর্মী এবং শ্রমিকদের নিয়ে ওই কাজ করছে সংস্থা। কাজের পরিধি বাড়াতে তারা রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে। সংস্থার তরফে নিজস্ব জেটি ছাড়াও বেশ কিছু ক্ষেত্রে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান, দফতর গুরুত্ব দিয়ে ওই প্রস্তাব বিবেচনা করছে।

এ ছাড়াও ‘বাই গো’ নামের একটি সংস্থা কলকাতায় অ্যাপ নির্ভর ব্যবস্থায় ই-বাইক চালক-সহ ভাড়া দেওয়ার পরিষেবা চালু করতে চলেছে। ওই সব বাইকে ন্যূনতম ১০ ঘণ্টার জন্য যে কেউ যাতায়াত করা ছাড়াও পণ্য ও খাবার পরিবহণ, অনলাইন সরবরাহ-সহ নানা কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

সংস্থার দাবি, দ্রুত বাইক চার্জিং-সহ নানা পরিকাঠামো তৈরির জন্য তারা ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। আরও ৩৭৫ কোটি টাকা আগামী বছরের মধ্যে বিনিয়োগ করতে চায়। চলতি বছরেই অন্তত তিন হাজার বাইকচালকের কর্মসংস্থান হবে বলে সংস্থার দাবি।

কলকাতার হলুদ ট্যাক্সির ঐতিহ্য ধরে রাখতে যাত্রী সাথী অ্যাপের মাধ্যমে ‘এন এ মোবিলিটি’ নামে একটি সংস্থা তিন হাজার সিএনজি চালিত হলুদ ক্যাব চালু করতে চায়। হলুদ ট্যাক্সির চালকদের পুনর্বাসন দেওয়া এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। চলতি বছরে কলকাতার হলুদ ট্যাক্সির সাজে ২০০টি ক্যাব রাস্তায় নামাতে চায় সংস্থা। চালকেরা নির্দিষ্ট চুক্তিতে ক্যাব চালাবেন বলে খবর। সংস্থাটি চলতি বছরে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। বছর কয়েকের মধ্যে ওই অঙ্ক আরও ২৫০ কোটি বাড়বে বলে প্রতিশ্রুতি মিলেছে।

এ দিন পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যে শিল্পবান্ধব পরিবেশ তৈরি হওয়া ছাড়াও পরিকাঠামো এবং বাজারের প্রসার ঘটেছে। পরিষেবা শিল্পে আগ্রহ বাড়ছে। পরিবহণ ক্ষেত্রও তার অন্যতম।’’ নতুন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এলে উল্লেখযোগ্য হারে কর্মসংস্থান বাড়বে বলে দাবি পরিবহণ দফতরের।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Transports Cruise

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}