E-Paper

গুলিতে খুন স্ত্রী, ধৃত স্বামী

বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রের খবর, জেরায় অজয় দাবি করেছে, টুম্পার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। পুলিশের দাবি, অজয়ই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিল এবং বান্ধবীর সঙ্গে থাকতে চাইছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২৩ ০৬:০৫
An image of Gun Shot

—প্রতীকী চিত্র।

দাম্পত্য কলহের জেরে সাতসকালে স্বামীর গুলিতে খুন হলেন স্ত্রী। সোমবার বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার নারায়ণপুরের চন্দ্রাণীতে ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম টুম্পা ঘোষ (৩২) ওরফে পিউ। অভিযোগ, এ দিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ বচসার সময়ে টুম্পাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তাঁর স্বামী অজয় ঘোষ। এর পরে বাড়ির জলের ট্যাঙ্কে আগ্নেয়াস্ত্রটি ফেলে দেয় সে। এক ঘণ্টা ধরে সেই ট্যাঙ্কের জল বার করে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করে নারায়ণপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অজয়কে। তার বিরুদ্ধে অতীতেও স্ত্রীকে মারধর ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রের খবর, জেরায় অজয় দাবি করেছে, টুম্পার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পুলিশের দাবি, বাস্তবে অজয়ই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিল এবং বান্ধবীর সঙ্গে থাকতে চাইছিল। তা নিয়েই দম্পতির মধ্যে গোলমাল চলছিল। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, এ দিন সকালেও গোলমাল হলে অজয় গুলি চালায়। গুলি লাগে টুম্পার পেটে। বাড়ির প্রধান লোহার দরজার সামনেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। পুলিশের অনুমান, আগ্নেয়াস্ত্র দেখে ভয়ে টুম্পা বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, দু’টি গুলির খোল ও দু’টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

কিন্তু কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পেল অজয়? পুলিশের কাছে ধৃতের দাবি, বাড়ি তৈরির সময়ে ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি তাদের জমিতে খুঁজে পেয়েছিল সে। তার পর থেকে রাতে বালিশের নীচে আগ্নেয়াস্ত্রটি রেখে ঘুমোত। যদিও ধৃতের এই দাবি মানতে চাইছেন না তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে তাঁরা জেনেছেন, অজয় জমির দালালি করত। সিন্ডিকেটের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তার। ইদানীং প্রোমোটিংয়ের দিকেও সে ঝুঁকেছিল। তেমনই কোথাও থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি অজয় জোগাড় করে বলে পুলিশের অনুমান। তবে খুনের আগাম পরিকল্পনা করেই সে আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করেছিল কি না, তা ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জানতে চান তদন্তকারীরা। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা পুলিশের খাতায় রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

টুম্পার পরিজনেরা জানান, মামাবাড়িতে বড় হয়েছিলেন টুম্পা। ১৭ বছর আগে অজয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের তিন মেয়ে। টুম্পার মামা বিশ্বনাথ গোস্বামী জানান, ২০১৫ সালে টুম্পাকে মারধর করার জন্য অজয়ের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছিল। তখন টুম্পাই তাকে ছাড়িয়ে আনেন। পুলিশ জেনেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অজয়ের যোগাযোগ ছিল। বিধাননগর পুর এলাকায় নির্বাচনে সে শাসক দলের হয়ে কাজও করেছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Death Gun Shot Couple arrest

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy