কর্মসূচির নাম বদলেছে। খাতায়কলমে পরিকাঠামোয় কোনও ঘাটতি নেই। তবুও গলদ কোথায়, তা দেখিয়ে দিল যক্ষ্মায় আক্রান্ত এক তরুণীর অভিজ্ঞতা।
মাস পাঁচেক আগে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন টাউনশিপের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে হয়। সাড়ে চার মাস পর থেকে জ্বর এবং প্রবল কাশি শুরু হয় তরুণীর। বাগুইআটির একটি বেসরকারি হাসপাতালে দু’দিন ভর্তি থেকেও তাঁর রোগ ধরা পড়ে না। তরুণীর অবস্থা অতি সঙ্কটজনক জানিয়ে দেন ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর পরেই সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তর করেন পরিজনেরা।
সল্টলেকের হাসপাতালের চিকিৎসক বাসববিজয় সরকার জানান, কাশির সঙ্গে কফ, শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যথার লক্ষণ নিয়ে তরুণী সেখানে যান। ভর্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর ফুসফুসের এক দিক সাদা হয়ে যায়। রক্তচাপ দ্রুত নামতে শুরু করে। ওই চিকিৎসকের কথায়, ‘‘দশ দিনের জ্বর-কাশি নিয়ে আসা এক জন তরুণীর শরীরে যক্ষ্মার জীবাণু থাকা স্বাভাবিক নয়। কিন্তু এক্স-রে প্লেট দেখেই মনে হয়েছিল, কফে যক্ষ্মার জীবাণু রয়েছে। ফুসফুসের অবস্থা দেখে সন্দেহ করেছিলাম, খারাপ ব্যাক্টিরিয়া থাকতে পারে।’’ এর পরেই তরুণীর কফের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের চিকিৎসক দেবরাজ দে পুরকায়স্থ বলেন, ‘‘তরুণীর যক্ষ্মার জীবাণু মিললেও ওষুধে কাজ হচ্ছিল। কিন্তু শরীরে ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়া নামে এক ধরনের খারাপ ব্যাক্টিরিয়া পাওয়া যায়। সেপ্টিক শকের লক্ষণও ছিল তাঁর।’’ দিন দশেক চিকিৎসাধীন থাকার পরে সুস্থ তরুণী। আর্থিক অসহায়তার কথা জানালে তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।