Advertisement
E-Paper

শিশু-মৃত্যুর গাফিলতিতে ক্ষমা নেই, জানাল কোর্ট

অভিযোগ, ২৫ জুন সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাবুনবাবুকে জানান, তাঁর সন্তান মারা গিয়েছে। পরদিন সকালে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালের মর্গে নিয়ে গিয়ে একটি শিশুর মৃতদেহ দেখানো হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২০ ০৪:০৭
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনায় কোনও ত্রুটি থাকলে আদালত কাউকে রেয়াত করবে না বলে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শিশুটির বাবার দায়ের করা মামলার শুনানিতে এ দিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের (এজি) উদ্দেশ্যে ওই কথা জানান বিচারপতি।

ওই শিশুটির বাবা বাবুন মণ্ডলের আইনজীবী ব্রজেশ ঝা এবং তরুণজ্যোতি তিওয়ারি জানান, গত ১২ জুন চন্দননগরে শিশুটি জন্মগ্রহণ করে। জন্মের পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক ছিল। পরের দিন তাকে আর জি করে ভর্তি করানো হয়। মামলার আবেদনে বাবুনবাবু অভিযোগ করেছেন, আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে সন্তানের কাছে থাকতে দেননি। হাসপাতালের বাইরে তাঁরা অপেক্ষা করতেন। বাবুনবাবু জানিয়েছেন, ২০ জুন থেকে তিন দিন তাঁর স্ত্রী চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো বুকের দুধ পাম্প করে বার করে সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য দিয়েও এসেছিলেন।

অভিযোগ, ২৫ জুন সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাবুনবাবুকে জানান, তাঁর সন্তান মারা গিয়েছে। পরদিন সকালে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালের মর্গে নিয়ে গিয়ে একটি শিশুর মৃতদেহ দেখানো হয়। অভিযোগ, ওই দেহটি পচাগলা ছিল।

বাবুনবাবুর আইনজীবীরা জানান, তাঁদের মক্কেল ওই পচাগলা দেহ নিতে অস্বীকার করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি দাবি করেন, দেহটি তাঁর সন্তানের নয়। তাঁর সন্তান বদল করা হয়েছে, এই মর্মে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগও করেন তিনি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা না-নেওয়ায় নিজের সন্তান ফেরত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ‘হেবিয়াস কর্পাস’ মামলা দায়ের করেন বাবুনবাবু।

মামলার আবেদনে ওই ব্যক্তি মৃত শিশুর ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁর আর্জি, কী ভাবে তাঁর সন্তানের মৃত্যু হল, আদালতে তা জানাক রাজ্য।

এ দিন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। ডিভিশন বেঞ্চ প্রথমেই মামলার আবেদনকারীর আইনজীবীদের কাছে মৃত শিশুর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানায়। এর পরে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের উদ্দেশে ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করে, যে অভিযোগ উঠেছে তা ‘মারাত্মক’। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, শিশু বদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে।

কিশোরবাবু আদালতে জানান, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ওই অভিযোগের অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেছে। ডিভিশন বেঞ্চ তা শুনে এজি-কে নির্দেশ দেয়, ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে এর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে।

Child Death R.G. Kar Medical Protest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy