Advertisement
E-Paper

চন্দন ভেবে কর্পূর কাঠ নিয়ে বেকুব চোরেরাই

চকচক করলেই সোনা নয়! এই প্রবাদটা বোধহয় জানা ছিল না ডাকাতদের। তাই বালির নিশ্চিন্দার কাঠ চেরাইয়ের কারখানায় ডাকাতি করতে এসে বহু দামি কাঠ পড়ে থাকলেও হাত দেয়নি তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:০৯

চকচক করলেই সোনা নয়! এই প্রবাদটা বোধহয় জানা ছিল না ডাকাতদের। তাই বালির নিশ্চিন্দার কাঠ চেরাইয়ের কারখানায় ডাকাতি করতে এসে বহু দামি কাঠ পড়ে থাকলেও হাত দেয়নি তারা। তুলনায় কম দামের কাঠের টুকরো চকচক করতে দেখে চন্দন কাঠ ভেবেছিল ডাকাতেরা। ওই কাঠ লুঠ করে কপাল চাপড়েছে।
ওই ডাকাতির ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতারের পরে এমনই তথ্য পেয়েছে পুলিশ। হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান সুমিত কুমার জানান, লুঠের কাঠ যিনি কিনেছিলেন সেই শ্যামল দাস-সহ ম্যাটাডরচালক মহেশ মাহাতো ও এক ডাকাত মহম্মদ ইমতিয়াজ খান ওরফে চাঁদ গ্রেফতার হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘মূল পাণ্ডা-সহ আরও পাঁচ জনের খোঁজ চলছে। চুরি যাওয়া কাঠের সবটাই উদ্ধার হয়েছে।’’ গোয়েন্দারা জেনেছেন, ২৭ নভেম্বর ওই কাঠ চেরাই কারখানায় ঢুকে দুই রক্ষী-সহ পাঁচ কর্মীকে মারধর করে বেঁধে রেখেছিল ডাকাতেরা। কিন্তু তার পরে কোন কাঠ লুঠ করতে হবে, তা বুঝে উঠতে পারেনি। হঠাৎই চোখে পড়ে বাল্বের আলোয় চকচক করছে কিছু কাঠের টুকরো। ডাকাতেরা ভেবে বসে, সেগুলিই চন্দন কাঠ। তা নিয়ে চম্পট দেয়। যদিও ওই কাঠের পাশেই স্তূপ করে রাখা ছিল আসল দামি কাঠ।
পুলিশ জেনেছে, ডাকাতেরা ধরেই নিয়েছিল কয়েক লক্ষ টাকার চন্দন কাঠ পেয়েছে। কিন্তু বিক্রির সময়ে দেখা যায়, সেগুলি আসলে কম দামি কর্পূর কাঠ।

Sandalwood
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy