খবর এসেছিল, সল্টলেক ও আশপাশের এলাকায় সোনা বিক্রির চেষ্টা করছে কয়েক জন যুবক। সেই সূত্র ধরে এগোতেই পুলিশের জালে ধরা পড়ল ৩ দুষ্কৃতী। উদ্ধার হল প্রায় ৬ কেজির সোনার বার। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকে। ধৃতদের নাম নইমুল্লা ওরফে বুল্লা, ইমতিয়াজ মোল্লা ও শাহনওয়াজ খান ওরফে বাবাই। নইমুল্লা এবং ইমতিয়াজ বারাসতের কাজিপাড়ার ও শাহনওয়াজ বসিরহাটের বাসিন্দা। এ দিনই বিধাননগর আদালতে তাদের ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, এ দিন পাঁচ নম্বর সেক্টরের একটি জায়গায় ওই তিন যুবক সোনা বিক্রি করতে আসবে বলে খবর পান তদন্তকারীরা। সেই মতো শুরু হয় নজরদারি। একটি রেস্তোরাঁর সামনে দাঁড়িয়েছিল নইমুল্লা ও শাহনওয়াজ। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের। উদ্ধার হয় ২ কেজি সোনার বার। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খোঁজ মেলে ইমতিয়াজের। এর পরে সল্টলেক ও আশপাশের কিছু জায়গায় হানা দিয়ে আরও চার কেজি সোনা উদ্ধার করে পুলিশ। সূত্রের দাবি, উদ্ধার হওয়া সোনার মধ্যে অনেকটাই মেলে ইমতিয়াজের বাড়ির পিছনে একটি গর্তের ভিতর থেকে। উদ্ধার হওয়া ৬ কেজি সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য
১ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা বলে দাবি করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কিছু দিন আগেই বিশেষ সূত্রে ওই দুষ্কৃতীদের তৎপরতার খবর মিলেছিল। এ ছাড়া, বড়বাজারের এক সোনার ব্যবসায়ীর চিনার পার্কের বাড়ি থেকে চুরির ঘটনার তদন্তে নেমেও ওই দুষ্কৃতীদের নাম উঠে আসে। সেই মতো তদন্ত চালিয়েই গ্রেফতার করা হয় ওই তিন জনকে। জেরায় নইমুল্লা পুলিশকে জানিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর দোকানে কাজ করত সে। সেখান থেকেই প্রায় ৯ কেজির সোনার বাট চুরি করে। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই সোনাই বাজারে বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা।
বিধাননগরের গোয়েন্দাপ্রধান কঙ্করপ্রসাদ বারুই জানান, ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এই দলটির সঙ্গে আর কারা যুক্ত, তা জানা প্রয়োজন। তদন্তকারীদের দাবি, শুধু বড়বাজার এলাকাই নয়, আরও বেশ কিছু জায়গায় সোনা পাচারের সঙ্গেও এই দলটির যোগসূত্র থাকতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy