এন্টালিতে ট্যাক্সিতে নগদ আড়াই কোটির বেশি লুটের অভিযোগে মঙ্গলবার তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার এসএন ব্যানার্জি রোডের ধারে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের একটি সংস্থার দফতর থেকে টাকা নিয়ে ট্যাক্সিতে ওঠেন দুই ব্যক্তি। ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্যই টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। অভিযোগ, এন্টালি এলাকায় সেই টাকা লুট করা হয়। সূত্রের খবর, ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের সংস্থারই এক কর্মী। এ ছাড়া লুটের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ এসএন ব্যানার্জি রোডের অফিস থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন দুই কর্মচারী। ব্যাগে ছিল দুই কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা। সেই টাকা ব্যাঙ্ক জমা দিতেই যাচ্ছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, ট্যাক্সি ফিলিপ্স মোড়ের কাছে পৌঁছোতেই দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ট্যাক্সিতে ওঠেন। তাঁরা উঠেই ট্যাক্সিটিকে কামারডাঙা এলাকায় একটি নির্জন গলিতে নিয়ে যান এবং লুট করে পালান!
এন্টালি থানাতে লুটের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সংস্থার ওই দুই কর্মী থানায় পুরো ঘটনা জানান। অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযোগকারীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে তথ্যসংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। সময় ধরে ধরে প্রতিটি বক্তব্য যাচাই করেও দেখা হয়। খতিয়ে দেখা হয় আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও। সেই তদন্তের সূত্র ধরেই মঙ্গলবার তিন জনকে গ্রেফতার করল এন্টালি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ঋজু নামে এক যুবক। তিনিও ওই বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের সংস্থারই এক জন কর্মী। ওই ব্যক্তিও মাঝেমধ্যে অফিস থেকে টাকা নিয়ে ব্যাঙ্কে জমা করতেন। তবে সোমবার তিনি যাননি। সূত্রের খবর, অফিস থেকে যে আড়াই কোটি টাকা নিয়ে ব্যাঙ্কে যাওয়া হচ্ছে, সেই খবর দুষ্কৃতীদের পৌঁছে দিয়েছিলেন ঋজুই! অন্য ধৃত সন্দীপ তাঁরই আত্মীয় বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এ ছাড়াও সরফরাজ নামে আরও যুবককেও এই মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে সন্দীপ এবং সরফরাজের কী ভূমিকা, তা এখনও স্পষ্ট করেননি তদন্তকারীরা।