দিন দুয়েক আগেই খড়্গপুর আইআইটিতে এক পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শুধু খড়্গপুর আইআইটি নয়, একই দিনে প্রকাশ্যে আসে কোটার এক নিট পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনাও। এই জোড়া ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছিল কি না, জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং আর মহাদেবনের বেঞ্চ দুই ঘটনাতেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘‘পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। পড়ুয়াদের আত্মহত্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজের জন্য আমরা টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিলাম।’’ উল্লেখ্য, সেই টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্বে রয়েছেন শীর্ষ আদালতের প্রাক্তন বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট।
সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, আইআইটি খড়্গপুর প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছিল কি? পাশাপাশি কোটার ঘটনাতেও উদ্বেগপ্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত।
রবিবার ভোরে এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয় খড়্গপুর আইআইটির মদন মোহন মালবীয় (এমএমএম) হলের এসডিএস ব্লকের একটি ঘরে। মৃত পড়ুয়া মহম্মদ আসিফ কমর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। কী কারণে এই মৃত্যু, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক ভাবে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করা হলেও সম্ভাব্য সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, শনিবার রাতে রাজস্থানের কোটায় আত্মঘাতী হন এক পরীক্ষার্থী! শনিবার রাত ৯টা নাগাদ কোটায় এক ভাড়াবাড়ির ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। ১৮ বছর বয়সি ওই তরুণী মধ্যপ্রদেশের শেওপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ডাক্তারিতে প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। সেই বিষয়টি নিয়েও মঙ্গলবার উদ্বেগপ্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। ডাক্তারি এবং প্রযুক্তিবিদ্যার প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে পড়ুয়ারা কোটায় যান। সেখানে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন তাঁরা। সেই কোটা শহরে প্রায়শই পড়ুয়া আত্মহত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এই নিয়ে ১৪টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। গত বছরে কোটায় ১৭ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছিল। কোটায় পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনাগুলিতে উদ্বিগ্ন স্থানীয় প্রশাসনও। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘আমরা জানতে চাই যে, এই আত্মহত্যার ঘটনাতেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে কি না।’’