সাত বছর বিবাহিত জীবন নিঃসন্তান অবস্থায় কেটেছে। তবে এত বছর পর সেই দুঃখ কাটার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই আশা পূরণ হল না। অভিযোগ, চিকিৎসকের গাফিলতি এবং নার্সের ভুলে সদ্যোজাত যমজ সন্তানের মৃত্যু হয়! সন্তানলাভের স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছে তেলঙ্গানার বাট্টি কীর্তির।
তেলঙ্গানার রঙ্গারেড্ডি জেলার এলিমনেড়ু গ্রামের বাসিন্দা বাট্টি। সাত বছর আগে তাঁর বিয়ে হয় ওই গ্রামের কীর্তি পরিবারে। তবে এত দিন ওই দম্পতির কোনও সন্তান হয়নি। পাঁচ মাস আগে আইভিএফের মাধ্যমে সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা যোগাযোগ করেন অনুশা রেড্ডি নামে এক চিকিৎসকের সঙ্গে। গত মাসেই বাট্টি স্থানীয় এক হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসক রেড্ডি তাঁকে পরীক্ষা করেন। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, চেকআপের সময় চিকিৎসক লক্ষ করেন বাট্টির জরায়ুমুখ আলগা হয়ে গিয়েছে। তখন তিনি ওই স্থান সেলাই করে দেন এবং বিশ্রামের পরামর্শ দেন।
গত এক মাস বাড়িতে বিশ্রামে ছিলেন বাট্টি। তবে রবিবার ভোরে আচমকাই তাঁর প্রসবযন্ত্রণা ওঠে। তখন ওই মহিলাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেই সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না চিকিৎসক রেড্ডি। নার্সেরা তখন ফোন এবং ভিডিয়ো কলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেই ভিডিয়ো কলেই চিকিৎসক নার্সদের কিছু পরামর্শ দেন। সেই সঙ্গে ইনঞ্জেকশন দেওয়ারও নির্দেশ দেন রেড্ডি। বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ব্যথা উপশমের জন্য ওই মহিলাকে যখন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল, তখনই তাঁর জরায়ুমুখের সেলাই কেটে যায়।
আরও পড়ুন:
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ অস্ত্রোপচার করে বাট্টির গর্ভ থেকে যমজ সন্তানকে বার করে আনা হয়। তখন প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তবে বাঁচানো যায়নি সদ্যোজাতদের। কীর্তি পরিবার সরাসরি চিকিৎসকের গাফলতির অভিযোগ তুলেছে। এমনকি, থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এফআইআর দায়ের করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলেই খবর।