Advertisement
E-Paper

ভুয়ো পরিচয়ে ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহারের অভিযোগ! গুজরাতে ৯ জায়গায় হানা দিল ইডি

ভুয়ো পরিচয়ে ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহারের অভিযোগে সম্প্রতি গুজরাতের অহমদাবাদে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ওই মামলায় এ বার তদন্ত শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৫ ১৪:৪৫
ভুয়ো পরিচয়ে ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহারের অভিযোগ গুজরাতে।

ভুয়ো পরিচয়ে ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহারের অভিযোগ গুজরাতে। — প্রতীকী চিত্র।

ভুয়ো পরিচয়ে ওয়াকফ সম্পত্তির অপব্যবহারের অভিযোগে এ বার তদন্তে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মঙ্গলবার ওই মামলার তদন্তে গুজরাতের ন’টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। গুজরাতের ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে নিবন্ধীকৃত (রেজিস্টার্ড) অহমদাবাদের দু’টি ট্রাস্টের সদস্য বলে অভিযুক্তেরা নিজেদের পরিচয় দিতেন। ওই ভুয়ো পরিচয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তাঁরা ওয়াকফ জমিকে বাড়ি এবং দোকানের জন্য ভাড়া নিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় অহমদাবাদের পুলিশ আগেই পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল। এ বার ওই মামলায় আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত দিকটির তদন্ত শুরু করল ইডি।

পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ওই পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে অর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর আওতায় মামলা রুজু করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে অভিযুক্তেরা ‘বেআইনি ভাবে’ নিজেদের ওই দুই ট্রাস্টের সদস্য বলে দাবি করতেন। ওই সূত্র ধরে মঙ্গলবার গুজরাতের বিভিন্ন প্রান্তে হানা দেন ইডির অহমদাবাদ আঞ্চলিক দফতরের আধিকারিকেরা। তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, অভিযুক্তেরা ভুয়ো নথিপত্র দেখিয়ে ওই ইজারা (লিজ়)-র চুক্তি করতেন এবং ভাড়াটিয়াদের থেকে টাকা তুলতেন।

এর আগে ওই মামলার তদন্তে অহমদাবাদের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ভরত রাঠৌর জানিয়েছিলেন, ওই দুই ট্রাস্টের অধীনস্থ পাঁচ হাজার বর্গফুটেরও বেশি জমিতে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। সেখানে তাঁরা প্রায় ১০০টি বাড়ি এবং দোকান তৈরি করেন। ২০০৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ওই অবৈধ নির্মাণগুলি ভাড়া দিয়ে তাঁরা টাকা আদায় করতেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরে পুলিশ জানায়, ওয়াকফ সম্পত্তিকে অভিযুক্তেরা ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্তেরা কেউই ওয়াকফ ট্রাস্টের সদস্য নন। ওই দু’টি ট্রাস্টের মধ্যে একটির জমিতে আগে একটি স্কুল ছিল। ২০০১ সালের ভূমিকম্পের সময়ে ওই স্কুল ভবনের বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরে ২০০৯ সালে স্কুলটি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে অহমদাবাদ পুরসভা। পুরনো ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। অভিযোগ তার পরেই এই অভিযুক্তেরা সেখানে বেশ কিছু দোকান বেআইনি ভাবে তৈরি করেন।

Waqf Board Gujarat Enforcement Directorate
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy