পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ একবালপুরের বাড়ির সামনে খোলা জায়গায় কাপড় মেলছিলেন ইজ়হার আখতার। ছবি: প্রতীকী
বিদ্যুতের তারে ভিজে কাপড় মেলতে গিয়ে বিপত্তি! বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এক ব্যক্তি। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হল তাঁর শাশুড়ি এবং তাঁর মেয়ের। ওই ব্যক্তিও গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। কলকাতার একবালপুরের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ একবালপুরের বাড়ির সামনে খোলা জায়গায় কাপড় মেলছিলেন ইজ়হার আখতার। তাঁর বয়স ৫১ বছর। বিদ্যুতের তারের উপর কাপড় মেলছিলেন ইজ়হার। তার জেরেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। ইজ়হারকে বাঁচাতে ছুটে আসেন তাঁর শাশুড়ি মুন্তাহা বেগম। তাঁর বয়স ৬৪ বছর। তিনিও ওই একই বাড়িতে থাকেন।
জামাইকে বাঁচাতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মুন্তাহা। তাঁদের বাঁচাতে ছুটে আসেন মুন্তাহার মেয়ে খাইরুলন্নেসা। মা এবং মেয়েকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ইজ়হারকে একবালপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ। মনে করা হচ্ছে, জিআই তারটিতে কোনও ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ সক্রিয় হয়ে ওঠে। তার জেরেই দু্র্ঘটনা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সিইএসই। কী ভাবে এই কাণ্ড হল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রবিবার সকালে রাজ্যের আরও এক জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই শ্রমিকের। অভিযোগ, বীরভূমের সদাইপুরে ১১ হাজার ভোল্টের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। তাঁরা উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে এসেছিলেন কাজ করতে। রবিবার ঘটনাস্থলে পুলিশকর্মীরা পৌঁছলে তাঁদের হাতে দেহ তুলে দিতে অস্বীকার করে ক্ষুব্ধ জনতা। এমনকি, দেহ দু’টি আটকে রেখে পুলিশকে তাড়া করেন গ্রামবাসীরা। কয়েক ঘণ্টা পর তাঁরা দেহ পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতেরা মথুরার কশিকালান ফালিন গ্ৰামের বাসিন্দা ছিলেন। ওই গ্রাম থেকে বিষ্ণু তনওয়ার (২২) এবং বিকাশ তনওয়ার (২৪) নামে দু’ভাই ধানকাটার মেশিন নিয়ে এ রাজ্যে সে কাজে এসেছিলেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ধানকাটার গাড়ি নিয়ে যশপুর গ্ৰাম পঞ্চায়তের সালুংচি গ্ৰাম থেকে কাজ সেরে সদাইপুর থানার রেঙ্গুনি গ্ৰামের দিকে রওনা দেন। পথে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার তাঁদের গাড়ির সঙ্গে লেগে দুর্ঘটনা ঘটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy