Advertisement
E-Paper

তিন হাজার চোখে শহরে নজরদারি

লালবাজার সূত্রের খবর, ওই দেড় হাজার সিসি ক্যামেরা সরাসরি থাকবে কলকাতা পুলিশের আওতাধীন ৭০টি থানার নিয়ন্ত্রণে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি থানায় ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৭ ০১:৩৯
নজরে: এমন ক্যামেরাই আরও বসবে শহরে। ফাইল চিত্র

নজরে: এমন ক্যামেরাই আরও বসবে শহরে। ফাইল চিত্র

শহর জু়ড়ে বাড়ছে নজরদারি!

বর্তমানে কলকাতা পুলিশ এলাকায় চালু রয়েছে প্রায় ১৬০০ ক্লোজ্‌ড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার আগেই আরও দেড় হাজার শক্তিশালী ক্যামেরার নজরদারিতে আসবে শহরের অলিগলি। ফলে অপরাধ
রুখে শহরের আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কলকাতা পুলিশের অস্ত্র হতে চলেছে ওই তিন হাজার নজরদার চোখ।

লালবাজার সূত্রের খবর, ওই দেড় হাজার সিসি ক্যামেরা সরাসরি থাকবে কলকাতা পুলিশের আওতাধীন ৭০টি থানার নিয়ন্ত্রণে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি থানায় ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এলাকার গুরুত্ব বুঝে বসানো হয়েছে ক্যামেরা। প্রতি থানা এলাকার অধীনে অন্তত দশটি জায়গাকে বেছে নেওয়া হয়েছে নজরদারির জন্য। থানার ওসি বা ডিউটি অফিসারদের ঘরে বসেছে সিসিটিভি মনিটর। যাতে ওই ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকার ছবি সরাসরি দেখতে পারবেন পুলিশকর্মীরা। এত দিন আলিপুর বা বড়বাজার এলাকায় বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সিসিটিভি বসানো হলেও থানার নিজস্ব কোনও ক্যামেরা ছিল না। কোনও ফুটেজ দেখার দরকার হলে পুলিশকর্মী বা অফিসারদের ভরসা ছিল লালবাজার।

লালবাজার জানাচ্ছে, বর্তমানে কলকাতা পুলিশ এলাকার সাতশো জায়গায় প্রায় ১৬০০ ক্যামেরার নজরদারি রয়েছে। যা মূলত ট্র্যাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ওই সব জায়গার ছবি দেখা যায় পুলিশ কমিশনার-সহ শীর্ষ কর্তাদের ঘর থেকেই। পাশাপাশি, সিসিটিভি ফুটেজে এত দিন নজর রাখা হতো লালবাজার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুম, ট্র্যাফিক গার্ড এবং ডিভিশনাল ডেপুটি কমিশনারদের (ডিসি) অফিস থেকে। ফলে, অপরাধের কিনারা বা অন্য কোন দরকারে ওই ছবি দেখার প্রয়োজন হলে থানাগুলিকে যোগাযোগ করতে হতো লালবাজার কন্ট্রোল রুম বা ট্র্যাফিক বিভাগের সঙ্গে। নতুন ব্যবস্থা চালু হলে ওসিরা তাঁদের মতো করে এলাকার সব জায়গার ছবি দেখতে পারবেন। সেই সঙ্গে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা জনিত কোন সমস্যা হলে তার গুরুত্ব বোঝার জন্যও কারও উপরে নির্ভর করতে হবে না।

পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, মূলত তিন ধরনের ক্যামেরা বসানো হয়েছে প্রতিটি থানা এলাকায়। ক্যামেরার সংখ্যা ঠিক করা হয়েছে থানা এবং এলাকার গুরুত্ব বুঝে। যে সব এলাকায় এখনও ট্র্যাফিক বিভাগের কোনও ক্যামেরা নেই, প্রাথমিক ভাবে সেই সব জায়গাতেই নতুন এই ক্যামেরা বসেছে। পুলিশের ওই অংশের দাবি, ট্র্যাফিক বিভাগের ক্যামেরার থেকে অনেক কম উচ্চতায় বসানো হয়েছে নতুন ক্যামেরাগুলি। মাটি থেকে ৮-১৮ ফুট উঁচুতে থাকা ওই ক্যামেরা নিজেদের মতো করে ব্যবহার করতে পারবেন থানার আধিকারিকেরা।

লালবাজারের এক কর্তা জানান, ‘সিটি সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম’-এর ওই ক্যামেরার নজরদারি অপরাধ দমনে যেমন সাহায্য করবে, তেমনই কাজে আসবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বা ট্র্যাফিকের ক্ষেত্রেও। ২৪ ঘণ্টাই থানার কর্মীরা ওই ক্যামেরার নজরদারি লক্ষ রাখবেন। প্রয়োজন হলে উচ্চপদস্থ কর্তারাও নিজেদের ঘরে বসেই তা দেখতে পাবেন।

CCTV City Surveillance লালবাজার Kolkata Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy