অটোমেটিক গেট আটকে রেখে যাত্রীদের পিছু পিছু ভিতরে ঢুকে পড়েন ওঁরা। কেউ প্রশ্ন করলেই জবাব আসে, ‘‘আমরা মেট্রোর স্টাফ।’’ অথচ, কর্মীদের জন্য মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট ডিউটি পাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। মেট্রোকর্তাদের বক্তব্য, এ ভাবে কর্মী সেজে প্রচুর লোক বিনা টিকিটে মেট্রোয় যাতায়াত করছেন।
এই সমস্যার সমাধানে মেট্রোয় এখন প্রায় প্রতি দিনই টিকিট পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকছে। সন্দেহ হলেই টিকিট যাচাই করা হচ্ছে যাত্রীদের। পুলিশকর্মীরা সাদা পোশাকে দাঁড়িয়ে থাকছেন মেট্রোর গেটে। ফলও মিলছে হাতেনাতে। গত এক মাসে টিকিট পরীক্ষকেরা ৩০৭ জন যাত্রীকে ধরেছেন। হয় তাঁদের টিকিট নেই। নয়তো তাঁরা কম দূরত্বের টিকিট নিয়ে বেশি দূরত্বে ভ্রমণ করছিলেন। মেট্রোর দায়িত্বপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক প্রত্যুষ ঘোষ জানিয়েছেন, শুধু এপ্রিলেই মেট্রো ওই বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করেছে ৭৯ হাজার টাকা। ফলে টিকিট পরীক্ষার অভিযান আরও বাড়ানো হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
মেট্রো সূত্রের খবর, গত তিন-চার মাস ধরে মেট্রোয় যাত্রী বেড়েছে। এখন যাত্রী-সংখ্যা দিনে প্রায় ছ’লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় যাত্রীদের মধ্যে সবাই ঠিকঠাক টিকিট কিনছেন কি না, সেটা দেখাই এখন প্রধান কাজ বলে মনে করছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সেই জন্যই অটোমেটিক টিকিট পরীক্ষার গেটের পাশাপাশি টিকিট পরীক্ষার জন্য মেট্রোর বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মীদেরও আর একটি শাখা তৈরি করা হয়েছে। সঙ্গে থাকছে রেলের আরপিএফ বাহিনীও।
মেট্রো সূত্রের খবর, যাত্রীদের পিছন পিছন মেট্রোর প্ল্যাটফর্মে ঢোকা আটকাতে স্টেশনগুলিতে এ বার গেটের কাছেও সিসিটিভি লাগানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যাতে এক জন যাত্রীর সঙ্গে আর এক জনকে ঢুকতে দেখলেই গেটটিকে কন্ট্রোল থেকে লক করে দেওয়া যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy