সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতর। — নিজস্ব চিত্র।
টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী বুধবার সকালে হঠাৎ ইডি দফতরে গিয়েছেন। তিনি জানান, আবার তাঁকে কবে হাজিরা দিতে হবে, তা জানতে গিয়েছিলেন। ইডি আধিকারিকেরা তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছেন।
পুরসভায় নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্ত করছে ইডি। তাদের নজরে রয়েছে কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক পুরসভা। সেই তদন্তের স্বার্থেই টিটাগড়ের প্রাক্তন প্রধানকে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। এর আগে দু’দিন তিনি সল্টলেকের ইডি দফতরে হাজিরা দিয়ে এসেছেন। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়।
বুধবার সকাল ১০টার পর ইডি দফতরে পৌঁছন প্রশান্ত। কিছু ক্ষণ পরে বেরিয়েও আসেন। বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে প্রশান্ত বলেন, ‘‘আমাকে ডাকা হয়নি। আমি এসেছিলাম, আমাকে আবার কবে ডাকা হবে, সেটা জানতে। ওঁরা বললেন, ফোন করে পরবর্তী হাজিরার তারিখ জানিয়ে দেবেন।’’
গত ৭ এবং ৮ নভেম্বর ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছেন প্রশান্ত। পুর নিয়োগ সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তার আগে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সে দিন তাঁর কাছ থেকে দু’টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরে হাজিরার দিন তাঁর সামনেই মোবাইলগুলির সিল খুলে সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ইডি।
প্রশান্ত বলেন, ‘‘আমার সামনেই মোবাইল খোলা হয়েছে। আমার সামনেই আবার সিল করা হয়েছে। সেখান থেকে কী তথ্য ইডি পেয়েছে আমি জানি না। আমি যখন টিটাগড় পুরসভার প্রধান ছিলাম, তখন ২৪০ জনের নিয়োগ হয়েছিল। আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। মূলত নথিগুলি জমা দিতে হচ্ছে।’’
টিটাগড় ছাড়াও বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিককে ইডি ডেকে পাঠিয়েছিল। সিজিওতে হাজিরা দেন কামারহাটির প্রাক্তন চেয়ারম্যানও। পুর মামলায় তল্লাশি চালানো হয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে। কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়ি এবং অফিসেও হানা দিয়েছে ইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy