সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতর। — নিজস্ব চিত্র।
পুর নিয়োগের মামলায় ইডি দফতরে দ্বিতীয় দিন হাজিরা দেন বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক। সোমবার তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার আবার তাঁকে সেখানে ঢুকতে দেখা গিয়েছে। ছ’ঘণ্টা পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। অপর্ণার পাশাপাশি, ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছেন টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীও। প্রায় ন’ঘণ্টা পর ইডির দফতর থেকে বার হন তিনি। তাঁর মোবাইল থেকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য তথ্য বার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। আরও একটি মোবাইলের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সে কারণে, বুধবারও ইডির দফতরে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তও ইডি দফতরে হাজিরা দেন মঙ্গলবার।
সকাল ১১টা নাগাদ ইডি দফতরে ঢুকতে দেখা যায় অপর্ণাকে। তারও আগে ১০টা ২০ মিনিটে দফতরে যান প্রশান্ত। দু’জনেই নথিপত্র নিয়ে সিজিওতে ঢুকেছেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও কথা বলেননি কেউ। ইডি সূত্রে খবর, পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি তাঁদের কাছে দেখতে চাওয়া হয়েছে। নিয়োগের কাজে তাঁরা যুক্ত ছিলেন কি না, নিয়োগে তাঁদের কী ভূমিকা ছিল, ইত্যাদি জিজ্ঞাসা করা হতে পারে অপর্ণা এবং প্রশান্তকে।
সোমবার অপর্ণা ইডি দফতরে প্রায় সাত ঘণ্টা ছিলেন। ওই দিন তাঁর সঙ্গে ডাকা হয়েছিল কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকেও। তিনিও ছিলেন বিকেল পর্যন্ত।
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির পাশাপাশি সক্রিয় সিবিআইও। এর আগে পুর নিয়োগ সংক্রান্ত নথির খোঁজে অপর্ণার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা এবং প্রাক্তন ও বর্তমান পুরকর্তাদের বাড়ি, অফিসে কেন্দ্রীয় অভিযান চলেছে একাধিক বার। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে সিবিআই ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছে গত মাসেই। একই দিনে তল্লাশি চলে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুর এবং দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy