তোলাবাজির অভিযোগ দায়েরের পরে কেটে গিয়েছে আরও পাঁচ দিন। কিন্তু তার পরেও কামারহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অজিতা ঘোষ (দত্ত) এবং তাঁর স্বামী তাপস দত্তকে গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। তবে তদন্তকারীদের দাবি, ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না কাউন্সিলর ও তাঁর স্বামীর। এমনকী যোগাযোগ করা যাচ্ছে না তাঁদের মোবাইলেও।
তোলাবাজির অভিযোগে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দলের তরফে কি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে? স্থানীয় সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘দল এখনই কোনও রকম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। পুলিশের তদন্তে দল কিংবা অন্য কোনও নেতাই কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবেন না। যদি দোষ প্রমাণিত হয়, তবে পুলিশ নিজের মতো ব্যবস্থা নেবে। এতে আমাদের কিছু করার নেই।’’ পাশাপাশি সৌগতবাবু আরও বলেন, ‘‘আগে কখনও অজিতার নামে এমন কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে যা শুনছি তা খুবই দুঃখজনক। এটা হওয়া উচিত নয়।’’ ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই অজিতাদেবী ও তাপসবাবুর খোঁজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও তাঁদের কোনও সন্ধান মেলেনি।’’
কামারহাটি পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অজিতাদেবী। তাঁর স্বামী তাপসবাবু ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি। পুর-চেয়ারম্যান তথা বেলঘরিয়া শহর তৃণমূলের সভাপতি গোপাল সাহার কাছে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ এবং তোলাবাজির বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূলকর্মী শিবু নাগ। তিনি কামারহাটি পুরসভার অস্থায়ী ওয়ার্ড সুপারভাইজার। এক সময়ে ওই যুবক অজিতাদেবীর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত ছিলেন। গত সোমবার বেলঘরিয়া থানায় অজিতাদেবী ও তাপসবাবুর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন শিবু। অভিযোগ, থানা ও দলের শীর্ষ নেতাকে বিষয়টি জানানোর অপরাধে শিবুকে সোমবার খুনের চেষ্টাও করেছিলেন ওই কাউন্সিলর। ছুরির ঘায়ে ওই যুবক আহত হন বলে অভিযোগ।
শনিবার বেলঘরিয়ার নন্দননগরের বাসিন্দা অজিতাদেবীর বাড়িতে গেলে তাঁর মেয়ে আরিষা দত্ত বলেন, ‘‘শিবু আমার বাবা-মায়ের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আমরা এ নিয়ে আদালতে যাব।’’ তবে অজিতাদেবীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয় বলেই কার্যত দাবি করেছেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘ওই কাউন্সিলরের সঙ্গে যাঁরা থাকেন তাঁদের কয়েকজন এ সব কাণ্ড ঘটিয়েছেন। এক জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তবে আইন নিজের পথেই তদন্ত করবে। কোনও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হলে রেয়াত করা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy