Advertisement
E-Paper

মশা নিধনে পুলিশ নিয়ে দত্তাবাদে নির্মল-অভিযান

মশা নিধনে এ বার থানার দ্বারস্থ হলেন বিধাননগর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৮ ০০:২৭
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মশা নিধনে এ বার থানার দ্বারস্থ হলেন বিধাননগর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর।

এ পর্যন্ত ডেঙ্গি সংক্রমণে সল্টলেকের দত্তাবাদে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তবুও পাতকুয়ো খোলা অবস্থায় পড়েই রয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষের আরও অভিযোগ, বারবার কুয়োর মালিককে সচেতন করেও লাভ হয় না। দুই বাড়ির মাঝের ফাঁকা জায়গায় অনেকেই আবর্জনা জমিয়ে রাখেন। পুরকর্মীরা সাফাই করে যাওয়ার পরেও প্লাস্টিকবন্দি আবর্জনা ফেলতে বাসিন্দারা কুণ্ঠা বোধ করেন না। বিধাননগর পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মল দত্তের দাবি, এই ছবি বদলাতে তিনি একাধিক বার আর্জি জানিয়েছেন। কিন্তু ফল না হওয়ায় রবিবার বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ‘নির্মল অভিযানে’ নামেন কাউন্সিলর।

বস্তুত, মশা নিধনে বাসিন্দাদের অসহযোগিতার অভিযোগ নতুন নয়। কোথাও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বসতবাড়ি হয়ে উঠেছে মশার আঁতুড়ঘর। কোথাও আবার বন্ধ কারখানা, পরিত্যক্ত জমিতে জঙ্গল তৈরি হয়ে ডেঙ্গি সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত অনুঘটকের কাজ করছে। অনেক ক্ষেত্রে বাসিন্দারা ছাদ, বাড়ির আশপাশে নোংরা জমিয়ে রাখছেন। কিন্তু পরিষ্কার করতে গেলে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন পুরকর্মীরা। বিধাননগর পুরসভা বলে নয়, কলকাতা-সহ বিভিন্ন পুর এলাকায় একই রকম অভিজ্ঞতা হচ্ছে মশা নিধনে যুক্ত কর্মীদের। সম্প্রতি উন্নয়ন ভবনের একটি বৈঠকেও সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন পুর প্রতিনিধিরা। কিছু পুরসভা এই পরিস্থিতিতে আইনানুগ ব্যবস্থার বার্তা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিলেও, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মশা নিধনের অভিযান বিশেষ দেখা যায় না।

এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দত্তাবাদের আমড়াতলা থেকে অভিযান শুরু হয়। সেখানে তিনটে খোলা পাতকুয়োর সন্ধান পান পুলিশকর্মী ও পুর প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। আমড়াতলায় গোপাল বাগের বাড়ির সামনে শিশির স্তূপে রাস্তা প্রায় বন্ধ হওয়ার অবস্থা। ঠাকুরতলার দুই ভাই নাড়ু ও মানিক চক্রবর্তী নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করে বাড়ি লাগোয়া জায়গায় আবর্জনা জমিয়ে রেখেছিলেন বলে জানান নির্মল। এ দিন তা পরিষ্কার করে দুই ভাইকে সতর্ক করে দেন পুলিশ আধিকারিক।

মশা মারতে পুলিশ কেন? নির্মলের জবাব, ‘‘দু’বেলা পুরকর্মীরা ঝাড়ু দিচ্ছেন, নোংরা থাকলে পরিষ্কার করছেন। পরিষেবার খামতি না রাখলেও কয়েক জনের জন্য এলাকা নোংরা হচ্ছে। এক বছর ধরে আর্জি জানিয়ে লাভ না হওয়ায় পুলিশের সাহায্য নিলাম।’’ পুলিশের বক্তব্য, মাঝেমধ্যে এলাকা পরিষ্কার করতে পদক্ষেপ করা হয়। পুরসভার পাশাপাশি পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা নিলে এলাকাবাসীদের সচেতন করার কাজটা সহজ হয়।

Mosquito Police TMC Councilor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy