Advertisement
E-Paper

মিছিলে মুখোমুখি বাম-তৃণমূল, ভোটের পারদ চড়ল বেলগাছিয়ায়

মুখোমুখি বাম আর তৃণমূলের মিছিল। আর প্রত্যাশিত ভাবেই তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। বামেদের তরফে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হলেও তৃণমূল অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে। উত্তর কলকাতায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে তাঁদের প্রচারে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল এই অভিযোগে শনিবার বেলগাছিয়া-পাইকপাড়া এলাকায় একটি মিছিল বার করেন বাম সমর্থকেরা। নেতৃত্ব দেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৫ ০০:০৩
সামনাসামনি বাম-তৃণমূল। শনিবার, বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপোর কাছে।—নিজস্ব চিত্র।

সামনাসামনি বাম-তৃণমূল। শনিবার, বেলগাছিয়া ট্রাম ডিপোর কাছে।—নিজস্ব চিত্র।

মুখোমুখি বাম আর তৃণমূলের মিছিল। আর প্রত্যাশিত ভাবেই তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। বামেদের তরফে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হলেও তৃণমূল অবশ্য সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে। উত্তর কলকাতায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে তাঁদের প্রচারে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল এই অভিযোগে শনিবার বেলগাছিয়া-পাইকপাড়া এলাকায় একটি মিছিল বার করেন বাম সমর্থকেরা। নেতৃত্ব দেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।

বামেদের মিছিল শুরুর সময়েই বেলগাছিয়ার মোড়ে তৃণমূলের একটি মিছিল শুরু হয়। সেই মিছিল বামেদের মিছিলের আগে আগে যেতে শুরু করে। ফলে বিমানবাবুদের মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। বিমানবাবুর অভিযোগ, তাঁরা পুলিশের কাছে মিছিলের জন্য আগাম অনুমতি নিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও একই সময়ে তৃণমূলকে মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে। ফলে সব মিলিয়ে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে পর্যাপ্ত পুলিশ থাকায় অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।

ক’মাস আগেই পাইকপাড়া এলাকায় এই রকম একটি পরিস্থিতিতে তৃণমূলের জমায়েত থেকে সিপিএমের মিছিলে ইট পড়েছিল। কয়েক জনের মাথাও ফেটেছিল। ফলে এ বার পুলিশ অতিরিক্ত সতর্ক ছিল। পরিস্থিতি সামলাতে বিরাট বাহিনী শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের মিছিল আটকে দেয় এবং রাস্তার অন্য ধার দিয়ে বামেদের মিছিল নিয়ে যায়। বেলগাছিয়া ট্রামডিপোর সামনে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সমর্থকরা তখন স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘বিমান বোস হায়! হায়!’

পরে বামেদের মিছিলটি পাইকপাড়া ঘুরে একটি সিপিএমের অফিসের সামনে এসে থামে। স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, শনিবারই ওই অফিস তৃণমূল ভাঙচুর করেছে। বিমানবাবু ওই অফিসে বসে চা খাওয়ার সময় ফের তৃণমূলের মিছিল সেখান দিয়ে যায়। মিছিল থেকে আবারও স্লোগান ওঠে, ‘বিমান বোস গো ব্যাক’।

এ দিন বামেদের মিছিলে পা মেলান সিপিএমের রবীন দেব, অনাদি সাহু, সিপিআইয়ের প্রবীর দেব, ফরওয়ার্ড ব্লকের হাফিজ আলি সৈরানি, আরএসপির তপন মিত্র প্রমুখ এবং প্রার্থী কনীনিকা ঘোষ। বিমানবাবুর অভিযোগ, “উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় বামেদের প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না।”

নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন? জবাবে বিমানবাবু বলেন, “কমিশন কি করবে? তারা সরকারের হাতের ক্রীড়নক। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেবে না।” পুলিশও বামেদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না এই অভিযোগ করে তিনি বলেন, “পুলিশ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।”

তিন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শান্তনু সেনের অবশ্য দাবি, “আমাদের মিছিল পূর্ব নির্ধারিত। বিমানবাবুরাই হঠাৎ মিছিল ডেকেছিলেন। পুলিশের কথায় আমাদের মিছিলের সময় বদলাই।”

এ দিন বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “একটি অভিযোগও ঠিক নয়। বিরোধীরা তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা ঢাকতে এবং মানুষের থেকে তাঁরা যে বিচ্ছিন্ন তা আড়াল করতেই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছে।” তৃণমূল কর্মীদের সংযত থাকতে ও প্ররোচনায় পা না দিতে বার্তাও দেন দলীয় নেতৃত্ব।

Trinamool CPM Election municipal election Belgachia Tram Depot BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy