প্রতীকী ছবি।
একমাত্র ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রৌঢ় দম্পতি। অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতের স্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মধ্যমগ্রাম পুরসভার শাসক দলের এক কাউন্সিলরের স্বামী সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন বলে সোমবার বারাসত পুলিশ জেলার সুপারের কাছে অভিযোগ করলেন মৃতের বাবা। হুমকির জেরে তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলেও জানিয়েছেন ওই দম্পতি। এমনকি, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার প্রভাবে পুলিশ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করছে না বলেও অভিযোগ। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই নেতা।
মধ্যমগ্রাম পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীনগর এলাকায় গত ৩১ জানুয়ারি অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় সমীর চট্টরাজের ছেলে জর্জের। সমীরবাবু বলেন, “রাত ১০টা নাগাদ ভারী কিছু পড়ার শব্দে আমরা ছেলের ঘরে ছুটে যাই। দেখি, ছেলের গলায় দড়ির ফাঁস। ওর স্ত্রী রমা মুখোপাধ্যায় চট্টরাজ সেই দড়ি কাটার পরে সিলিং থেকে নীচে পড়ে যায় জর্জ। আমরা কান্নাকাটি করলেও রমা বলে, ছেলে না কি নাটক করছে। আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জর্জকে সেখানে মৃত ঘোষণা করা হয়।”
সমীরবাবুর অভিযোগ, হাসপাতালেই রমার ফোন পেয়ে হাজির হন ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর মীরা দাস এবং তাঁর স্বামী তাপস (বাপি) দাস। সমীরবাবু বলেন, “আমরা জানি রমা আমার ছেলেকে খুন করেছে। ও ঘরে থাকাকালীন এমন ঘটনা ঘটল, অথচ আমাদের কিছু জানায়নি। কিন্তু তাপস এবং তাঁর স্ত্রী আমাদের হুমকি দিতে থাকেন, যাতে আমরা থানায় কোনও অভিযোগ না করে বিষয়টি মিটিয়ে নিই। পরে যদিও আমরা অভিযোগ দায়ের করি।”
পুলিশ সুপারকে লেখা চিঠিতে সমীরবাবুর আরও অভিযোগ, তাপসবাবুর প্রভাবের কারণেই পুলিশ এই মামলার তদন্ত ঠিক ভাবে করছে না। অভিযুক্তের মোবাইল পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেনি। যেখানে জর্জের দেহ মেলে, সেই ঘর সিল করা হয়নি। এমনকি, আদালতে তাঁদের গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়নি।
পরে পুলিশ রমাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন তিনি। সমীরবাবুর অভিযোগ, তাপসবাবু তাঁদের ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছেন যাতে তাঁরা মামলা
প্রত্যাহার করেন। এই অবস্থায় তাঁরা আতঙ্কিত। তাপসবাবু অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “জর্জ ভাল ছেলে ছিল। তবে রমা প্রায়ই নালিশ জানাত যে, জর্জ তার উপরে অত্যাচার চালায়। জর্জের মৃত্যুর পর থেকে তাদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে আমার কোনও কথাই হয়নি। আবেগপ্রবণ হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন ওঁরা। পুলিশ ঠিক তদন্তই করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy