দুলাল কেন ব্যতিক্রম? ফাইল চিত্র।
মহেশতলার বিধায়ক দুলাল দাস কি তৃণমূলের ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির ব্যতিক্রম? রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার ভোটের প্রার্থিতালিকা দেখে তেমনই মনে হচ্ছে। কারণ, সেই তালিকায় মহেশতলা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসেবে দুলালের নাম রয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে দুলাল ওই পুরসভারই ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়াতেন। এ বার তাঁকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করা হয়েছে।
দুলাল নিজেও ওই বিষয়ে সম্যক অবহিত। এ নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করায় দুলাল বলেছেন, ‘‘আমি কাউকে টিকিটের জন্য বলিনি। তবে দল আমাকে ভোটে লড়ার দায়িত্ব দিয়েছে। আমি ভোটে লড়ব।’’ঘটনাচক্রে, দুলালের কন্যা রত্না চট্টোপাধ্যায়ও ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির ব্যতিক্রম। তবে তা কলকাতা পুরসভায়। রত্না তৃণমূল বিধায়ক হলেও তাঁকে পুরভোটের টিকিট দেওয়া হয়েছিল। তিনি জিতে কাউন্সিলরও হয়েছেন। দেখা যাচ্ছে, দুলালও ‘ব্যতিক্রম’।
তবে তৃণমূল সূত্রের খবর, এই তালিকা বদলাতে পারে। বস্তুত, যে তালিকা শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে, সেই তালিকাটি নাকি ‘আসল’ নয়। ফলে তাতে বহু বদলও হতে পারে। দলের এক নেতার দাবি, ‘‘ভুল তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই তালিকা বদলানোর সম্ভবনা প্রবল।’’ বীরভূমে স্বামী-স্ত্রী প্রার্থী হওয়ার উদাহরণও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ১০৮টি পুরসভার প্রার্থিতালিকা প্রকাশের সময় তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কোনও বিধায়ককে টিকিট দেওয়া হবে না। এমনকি, একই পরিবার থেকে দু’জনকে টিকিট পাবেন না। কিন্তু দুলাল এবং বীরভূম অন্য কথা বলছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজ্যের বকেয়া ১০৮টি পুরসভার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। সাংবাদিক বৈঠকে দলের মহাসচিব জানান, এ বারের ভোটে আর বিধায়করা লড়বেন না। পাশাপাশি, একই পরিবারের একাধিক নেতা কাউন্সিলর হওয়ার ভোটে লড়তে পারবেন না বলে ঘোষণা করেন তিনি।
পার্থ জানিয়েছিলেন, নবীন-প্রবীণের ভারসাম্য রেখে প্রার্থিতালিকা তৈরি হয়েছে। তবে কোনও বিধায়ককে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। পার্থ আরও বলেছেন, ‘‘পুরভোটে নতুনদের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। যাঁকে প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে, তাঁকেই সমর্থন করতে হবে।’’ দলের মহাসচিবের ঘোষণা থেকে স্পষ্ট, রাজ্যের বকেয়া ১০৮টি পুরসভার ভোটে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি কঠোর ভাবে মেনে চলছে তৃণমূল। পাশাপাশি, পরিবারতন্ত্রের উপরেও রাশ টেনেছে তারা। কিন্তু সেই রাশ কেন দুলাল-প্রশ্নে আলগা হল, তা নিয়ে এখনও ব্যাখ্যায় যাচ্ছে না তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy