Advertisement
E-Paper

আটকে পরীক্ষার্থী, পৌঁছে দিল পুলিশ

বৃহস্পতিবার সকালে এ ভাবেই সাঁতরাগাছির বাসিন্দা অদ্রিজা পাণিগ্রাহীর পাশে দাঁড়ালেন ঠাকুরপুকুর ট্র্যাফিক গার্ডের অতিরিক্ত ওসি পিনাকী প্রামাণিক ও হেড কোয়ার্টার্স ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট প্রসেনজিৎ বড়ুয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৮ ০২:১৩
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বিদ্যাসাগর সেতুতে একটি মালবাহী গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছিল তীব্র যানজট। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে ডিউটি করছিলেন কলকাতা পুলিশের দুই অফিসার। হঠাৎই তাঁরা দেখেন, এক তরুণী কাঁদতে কাঁদতে এগিয়ে আসছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে অফিসারেরা জানতে পারেন, ওই ছাত্রী এ বারের পার্ট ওয়ান পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা শুরু হতে বাকি কয়েক মিনিট। কিন্তু যানজটে দীর্ঘ ক্ষণ আটকে রয়েছে তাঁদের গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে ওই দুই অফিসার ঠিক করেন, মোটরবাইকে যে ভাবেই হোক ওই ছাত্রীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই মতো এক অফিসার মেয়েটিকে মোটরবাইকে চাপিয়ে রওনা হন। সহকর্মীদের অনুরোধ করে, সিগন্যালের বাধা পেরিয়ে ছাত্রীকে পৌঁছে দেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। পরীক্ষা শুরুর দশ মিনিট পরে পৌঁছন ওই তরুণী।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে এ ভাবেই সাঁতরাগাছির বাসিন্দা অদ্রিজা পাণিগ্রাহীর পাশে দাঁড়ালেন ঠাকুরপুকুর ট্র্যাফিক গার্ডের অতিরিক্ত ওসি পিনাকী প্রামাণিক ও হেড কোয়ার্টার্স ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট প্রসেনজিৎ বড়ুয়া। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের পড়ুয়া অদ্রিজার সিট পড়েছিল গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস কলেজে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ১১টায়। কিন্তু দীর্ঘ যানজটে আটকে ছাত্রীটি ধরেই নিয়েছিলেন, পরীক্ষা আর দেওয়া হল না।

শুক্রবার অদ্রিজা বলেন, ‘‘পৌনে দশটা নাগাদ গাড়ি নিয়ে আমি আর মা বেরিয়েছিলাম। যানজটে আটকে থাকি এক ঘণ্টারও বেশি। তখনই কালিম্পঙে থাকা বাবার সঙ্গে কথা বলি। তিনিই পুলিশ অফিসারদের কাছে সাহায্যের আবেদন করতে বলেন।’’ ছাত্রীটির বাবা, কালিম্পং কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপ্যাল অমিত পাণিগ্রাহী জানিয়েছেন, ওই দুই পুলিশকর্মীর কাছে তিনি কৃতজ্ঞ।

Police Responsibility Student
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy