প্রতীকী ছবি।
রাস্তা পারাপারের জন্য দু’টি বাসস্টপের কাছে ফুটব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সে দু’টির অবস্থা এখন বেহাল দশা। পাশাপাশি ওই জায়গায় জনসমাগম, গাড়ির চাপ এবং কয়েক বছর ধরে ঘটে চলা ছোট-বড় দুর্ঘটনাকে বিবেচনায় রেখে সাবওয়ে তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
ওই সাবওয়ে দু’টি তৈরি হতে চলেছে ভিআইপি রোডের গোলাঘাটা ও শ্রীভূমি বাসস্টপের কাছে। কিন্তু এই কাজ করতে গেলে ভিআইপি রোডের মূল ক্যারেজওয়েতে খোঁড়াখুঁড়ি করতে হবে। সেই কাজ করবে পূর্ত দফতর। এই কাজ শুরু হলে ভিআইপি রোডে প্রবল যানজট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই তার জন্য বিশেষ ট্র্যাফিক ব্যবস্থা তৈরি করতে চলেছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট।
সম্প্রতি ভিআইপি রোডে গোলাঘাটার কাছে সার্ভিস রোডে শুরু হয়েছে কাজ। পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, সার্ভিস রোড ও মূল রাস্তা কেটে সাবওয়ের কাজ করতে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। প্রথমে সার্ভিস রোডের কাজ চলবে এক মাস। পরে মূল রাস্তার জন্য কাজ করতে লাগতে পারে দু’মাস। ওই দু’মাস নিয়েই চিন্তায় প্রশাসন। কারণ, ওই দু’মাস সার্ভিস রোড ধরে গাড়ি চলাচল করবে। কিন্তু ভিআইপি রোডে যত গাড়ি চলাচল করে, সার্ভিস রোডে তা চললে প্রবল যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।
যানজট এড়াতে বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। পুলিশ সূত্রের খবর, সাবওয়ে তৈরির সময়ে সার্ভিস রোডে যাতে কোনও গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা না হয়, সে জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় বোর্ড লাগানো হয়েছে। এতে পথচারী, গাড়িচালক থেকে সাধারণ মানুষ যানজটের বিষয়ে আগাম সতর্ক হতে পারবেন।
ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস থেকে যে গাড়িগুলি ভিআইপি রোড ধরে বিমানবন্দরের দিকে যায়, সেগুলিকে বেলেঘাটা থেকে সল্টলেক-নিউ টাউনের রাস্তা ধরে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, খন্নার দিক থেকে উল্টোডাঙা হয়ে যে সব গাড়ি ভিআইপি রোডে ওঠে, সেই সব গাড়িগুলিকে শ্যামবাজার হয়ে যশোর রোড ধরার আবেদন করতে চলেছে বিধাননগর পুলিশ। এই কারণে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বলে বিধাননগরের পুলিশ সূত্রের খবর।
বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা জানান, শুধু যে দু’টি ফুটব্রিজের হাল খারাপ তা-ই নয়, ওই এলাকায় রাস্তা পেরোতে গিয়ে বেশ কিছু দুর্ঘটনা হয়েছে। পাশাপাশি, পুজোর সময়ে মণ্ডপমুখী ভিড়কে রাস্তা পারাপার করাতে হিমসিম খায় পুলিশ। তীব্র যানজটও তৈরি হয় ওই দুই জায়গায়। সাবওয়ে তৈরি হয়ে গেলে সেই সমস্যার সমাধান হবে। দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও কমে যাবে।
বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু বলেন, ‘‘কেষ্টপুর খালের দু’পাড়ের মানুষের স্বার্থের কথা ভেবে সাবওয়ের পরিকল্পনা হয়েছে। ট্রায়াল রান দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। কাজ শুরু হয়েছে। যাতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ না হয়, তার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy